পি কে হালদারের সহযোগী অবন্তিকাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু

প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের এক মামলায় তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অবন্তিকা বড়ালকে তিন দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2021, 09:43 AM
Updated : 25 Jan 2021, 09:43 AM

কাশেমপুর কারাগার থেকে বিশেষ নিরাপত্তায় সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় তাকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আনা হয়।

এরপর তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন তাকে প্রথম দিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন বলে দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি পি কে হালদারের আরেক সহযোগী অবন্তিকা বড়ালকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দুদক।

এরপর ওই দিনই তাকে আদালতে হাজির করে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে অবন্তিকা বড়ালের বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নানা কৌশলে নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নিজের আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন।

প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা পাচার করার অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে পলাতক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’ অবন্তিকা বড়ালকে বুধবার গ্রেপ্তার করে দুদক।

এই চার কোম্পানি হল- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।

এসব কোম্পানি থেকে তিনি ঋণের নামে বিপুল অংকের টাকা সরিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন বলে তদন্তকারীদের ভাষ্য।

এর মধ্যে আইএলএফএসএল গ্রাহকদের অভিযোগের মুখে গত বছরের শুরুতে পি কে হালদারের বিদেশ পালানোর পর দুদক তার ২৭৫ কোটি টাকার ‘অবৈধ সম্পদের’ খবর দিয়ে মামলা করে।

দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, পি কে হালদার তার নিজের, আত্মীয়দের, বন্ধু ও কর্মচারীদের নাম ব্যবহার করে আটটি কোম্পানিতে ৬৭ কোটি ৩৫ লাখ ৪৪ হাজার ১৯৯ টাকা বিনিয়োগ করেছেন, যার ‘বৈধ কোনো উৎস’ অনুসন্ধানে মেলেনি।

এর মধ্যে সুখাদা লিমিটেড নামের একটি কোম্পানিতে অবন্তিকা বড়াল, প্রীতিষ কুমার হালদার এবং সুসমিতা সাহার নামে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে, যা আসলে পি কে হালদারের টাকা বলে দুদকের ধারণা।

পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারে ইতোমধ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিস জারি করা হয়েছে। তার মা লীলাবতী হালদার এবং অবন্তিকা বড়ালসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাই কোর্ট।