অসহ্য মশা যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে: মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকায় মশা যে অসহ্য যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা ‘অস্বীকার করার উপায় নেই’।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2021, 09:35 AM
Updated : 24 Jan 2021, 09:35 AM

সচিবালয়ে রোববার ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে দুই সিটি করপোরেশনের কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা সভার শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।

তাজুল বলেন, “ইতোমধ্যে আপনারা মশা নিয়ে কিছু কিছু কথাবার্তা বলছেন। আমি যদিও এটা মনে করি অতীতের যে কোনো বছরের তুলনায় এখনও কিউলেক্স মশার পরিমাণ কম।

“কিন্তু তাও (মশা) মানুষের কাছে অসহ্য ও যন্ত্রণার কারণ হিসেবে এটা আজকে দাঁড়িয়েছে- এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।”

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এইডিস মশা হয় ঘর-বাড়িতে। বাড়ির মালিকসহ সবাই এ মশা মারতে যোগ দিয়েছে।

“গত সেপ্টেম্বর থেকে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছিলাম বলে আমরা সেখানে একটা সন্তোষজনক জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি। (কিন্তু) কিউলেক্স মশা হয় ঝোপ-জঙ্গল, আর্বজনা এবং ময়লা পানিতে।”

সেজন্য কচুরিপানাসহ ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদেশ থেকে মেশিন কেনা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ১৯৮৭ সালে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও খালগুলো ওয়াসার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। জনমানুষের মধ্যে একটা ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, এটা জনপ্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকলে ‘ভালো’ হবে।

সেজন্য খালগুলোর দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের প্রসঙ্গ তুলে ধরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, “আমরা স্টর্ম ওয়াটার ও খালগুলো নিয়ে আজকে বসেছি। শুধুমাত্র বৃষ্টির পানি যাওয়ার জন্য, খালগুলোকে পরিষ্কার করার জন্য সিটি করপোরেশনের কাছে এটা হস্তান্তর করা হয়নি, তারাও এজন্য এটা নেয়নি।

“উদ্দেশ্যটা হল- যেসব খালের জায়গা অবৈধভাবে দখল হয়েছে তা দখলমুক্ত করা। দখলমুক্ত করে খালগুলোকে সংস্কার করা।”

ঢাকার ৩৯টি খাল সংস্কারের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতেই এ সভা ডাকা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

তার প্রত্যাশা, “ঢাকা শহর শুধু লিভেবল সিটি হবে না, এটা এনজয়েবল সিটি হবে। ঢাকা শহরকে উদাহরণ দেওয়া শহরগুলোর মাত্রায় নিয়ে যেতে আমাদের কাজ করতে হবে।”