বৃহস্পতিবার মিরপুরে উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, “নোটিস দিতে গেলে ঢাকা শহরে কোনো কাজ করা যাবে না। অবৈধভাবে দখল করে রাখলে সে জন্য আমি দায়ী না, সিটি করপোরেশন দায়ী না। বরং যে দখল করে রেখেছে সে-ই দায়ী।”
এদিন মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের এভিনিউ ৩ এর ৪ নম্বর সড়কে উচ্ছেদ অভিযান চালায় ডিএনসিসি।
মেয়র আতিক বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দীর্ঘদিন প্রশস্ত করা যায়নি। অবৈধ দখলমুক্ত করে তা প্রশস্ত করা হবে।
“এই রাস্তার প্রশস্ততা ৬৫ ফুট থেকে ৭৫ ফুট। অবৈধ দখল থেকে উদ্ধার করে এটি আমরা প্রশস্ত করব। তালে মিরপুর থেকে এই রাস্তা দিয়ে খুব সহজে এয়ারপোর্টের দিকে যাওয়া যাবে।”
মেয়র বলেন, অবৈধ দখলদার যেই হোক ছাড় দেওয়া হবে না।
“আমাদের আজকের মেসেজ হচ্ছে জনগণের জন্যই এই রাস্তায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে চওড়া করা হচ্ছে, কারও ব্যক্তি স্বার্থে নয়।”
ডিএনসিসির অঞ্চল-২ এর নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম সফিউল আজম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই উচ্ছেদ অভিযানে ৪ নম্বর সড়কের দুই পাশে প্রায় চার শতাধিক স্থায়ী-অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।
এর আগে সকালে পল্লবীর ‘নান্নু মার্কেট’ এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে গিয়ে এলাকাবাসীর বাধার মুখে পড়েন ডিএনসিসির কর্মকর্তারা।
নান্নু মার্কেট এলাকার অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রস্তুতি নেয় সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
মিরপুর বিভাগের পুলিশের উপ-কমিশনার মাহাতাব উদ্দিন বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকাল পৌনে ১১ দিকে অভিযান শুরু হওয়ার আগে কিছু মানুষ ইট- পাটকেল মেরে পালিয়ে যায়।
“এতে কেউ আহত হয়নি। এখন উচ্ছেদ অভিযান চলছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথেষ্ট সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে পল্লবীতে থমথমে অবস্থা তৈরি হয়।
অভিযান শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে পুলিশের সঙ্গে ব্যবসায়ীরা সংঘর্ষে জড়ায়। কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে বলে দেলোয়ার নামের এক বাসিন্দা জানান।