গ্রেপ্তাররা হলেন- দর্পণ গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম সোহাগ (৫২), ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেনা জহির (৫০) ও মিল্টন রায় (২৮)।
সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক শেখ ওমর ফারুক বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ১৯ জানুয়ারি ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সরকার মার্কেটের তৃতীয় তলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, এই চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ এ চাকরি দেওয়ার নামে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অফিস খুলে লোকজনকে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ‘টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল’।
“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা বলেছে, তারা স্যামসাং গ্রুপের নামে একটি ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি করে বিমানবন্দরে দক্ষ ও অদক্ষ লেবার এবং সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়া হবে মর্মে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে রাখে। শর্ত থাকে লেবার প্রতি ৫০ হাজার এবং সুপারভাইজার প্রতি এক লাখ টাকা দিতে হবে।
“তাদের কথায় আশ্বস্ত হয়ে শ্রমিক ও সুপারভাইজার পদে চাকরি পাওয়ার জন্য প্রায় দেড়শ লোক টাকা দিয়ে আবেদন করলে তাদেরকে চাকরিতে যোগদানের জন্য নিয়োগপত্র প্রদান করে। ভুক্তভোগীরা কাজে যোগদানের বিষয়ে আলাপ করলে তারা অপেক্ষা করতে বলে ঘুরাতে থাকে।
“পরবর্তীতে আসামিদের দেওয়া নিয়োগপত্রের বিষয়ে ভুক্তভোগীরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে, শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এ চাকরি দেওয়ার জন্য দর্পণ গ্রুপ অব কোম্পানি অথবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে স্যামসাং কোম্পানি কোনো ওয়ার্ক অর্ডার দেয়নি।”
প্রতারণার এই ঘটনায় ভাটারা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে জানিয়ে ওমর ফারুক বলেন, এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।