বৃহস্পতিবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে বেসরকারিভাবে যারা দক্ষ তাদের সঙ্গে আলোচনা করে করোনার টিকা আনার অনুমতি দেওয়া উচিত।
“একটা ডোজ কিনতে ৬/৭শ’ টাকা লাগবে। যাদের দরকার তারা কিনে নিতে পারবে। দেশের ৫০ ভাগ মানুষ এই টাকা দিয়ে টিকা কিনে নিতে পারবেন। তাদের ক্রয় করে টিকা নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। যারা পারবে না, তাদের জন্য সরকারিভাবে এনে বিনামূল্যে দেওয়া হবে।”
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ ডোজ টিকা বৃহস্পতিবার ঢাকায় পৌঁছেছে। এই টিকা উপহার হিসেবে দিয়েছে ভারত।
সরকারিভাবেও সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে একই টিকার তিন কোটি ডোজ কেনা হচ্ছে, যার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা ২৫ জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২৭ বা ২৮ জানুয়ারি টিকা প্রয়োগ শুরুর কথা রয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় সরকার সফল উল্লেখ করে জাপার সংসদ সদস্য ফরাজী বলেন, “করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ সফলতা দেখিয়েছে, যা অনেক উন্নত দেশ পারেনি। করোনা মোকাবেলা করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এই করোনার সময় প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন। সারা বছর তিনি সবকিছু বন্ধ করে না রেখে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দেশের অর্থনীতি এখন যে অবস্থায় আছে এটা যদি ধরে রাখা যায় আমরা আরও এগিয়ে যাব।”
তিনি বলেন, “দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স নিয়েছেন, সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগ দেখাতে হবে।”
ফরাজী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কোনো সমালোচনায় কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “সমালোচকরা সমালোচনা করবে। কান না দিয়ে এগিয়ে যান। আপনার ওপর মানুষের আস্থা আছে, সেটা যেন নষ্ট না হয়।”
অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন আব্দুল মান্নান, ইকবাল হাসেন, আনজুম সুলতানা, পংকজ নাথ, বীরেন শিকদার, জিন্নাতুল বাকিয়া প্রমুখ।