নতুন একটি ঠিকানা পেয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই প্রতিক্রিয়া জানালেন ষাটোর্ধ্ব ফিরোজ মিয়া, যিনি মাটিকাটা শ্রমিকের কাজ করেন।
মুজিববর্ষে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার’ হিসেবে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায়
নিজের বাড়ি পেতে যাওয়া ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষগুলো এখন নতুন স্বপ্নে বিভার।
বুধবার সেখানে গেলে এই ভূমিহীনরা বলেন, নিজেদের একটি ঘর হচ্ছে, এটা তাদের বিশ্বাসই হতে চাইছে না।
এক সময় কভার্ড ভ্যান চালক বড় ছেলে আর একমাত্র মেয়ের থেকে সামান্য টাকা চেয়ে নিয়ে জীবন কাটানো শরীফুল নতুন ঘরকে জীবনের নতুন অবলম্বন হিসেবে দেখছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “এখন আমার থাকার কোনো চিন্তা নাই। ছোটখাটো একটা মুদি দোকান দিলেও বাকি জীবনটা কাইটা যাইব। আমি শেখ হাসিনা আপার কাছে কৃতজ্ঞ।”
তিনি বলেন, “এখন আমি সংসারে বাসা ভাড়ার টাকাটা খরচ করমু। সন্তানদের লেখাপড়া শিখায়া অনেক বড় করতে চেষ্টা করমু।”
ফিরোজ মিয়া বলেন, “জীবনের ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ভাড়া বাসায় ছিলাম। নিজের কোনো জমিও ছিল না, ঘর করার মতো পয়সাও ছিল না।”
“২৩ জানুয়ারি সারা বিশ্বে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ খাস জমির মালিকানা দিয়ে বিনা পয়সায় দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘর মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী প্রদান করবেন।”
আশ্রয়ন প্রকল্পের নথিপত্র থেকে জানা যায়, ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ন নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি প্রকল্প গ্রহণ করে, যা তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছিল। সে প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস অবধি ৩ লাখ ২০ হাজার ৫২টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়।
আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর মুজিববর্ষ উপলক্ষে দেশের প্রতিটি গৃহহীনকে ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ শুরু করে।
এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০২০ সালের জুনে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২টি পরিবারের তালিকা করা হয়েছে।
আশ্রয়ন প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল- ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্ন অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন, ঋণপ্রদান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা এবং আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ।