অভিজিৎ হত্যামামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ

লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2021, 04:05 PM
Updated : 20 Jan 2021, 04:05 PM

বুধবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি। জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা।

এদিন আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জেরা শেষ করতে না পারায় অবশিষ্ট জেরার জন্য আদালত বৃহস্পতিবার শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন।

জবানবন্দিতে মনিরুল বলেন, তিনি মামলার তদন্তভার নেওয়ার পর তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেন।

পলাতক দুই আসামিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার আগে বইমেলার ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের কথা বলেন তিনি। বিচারককে ফুটেজগুলোও তিনি দেখান।

বিজ্ঞান লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে নিয়ে থাকতেন যুক্তরাষ্ট্রে। জঙ্গিদের নানা হুমকির মধ্যেই ২০১৫ সালে বইমেলা উপলক্ষে দেশে ফিরেছিলেন দুজন।

ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা পৌঁছানোর পর রাতে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন তারা।

এ স্থানেই খুন হয়েছিলেন অভিজিৎ রায়।

সন্ত্রাসীর চাপাতির আঘাতে নিহত হন অভিজিৎ, তার স্ত্রী বন্যাও গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তার হাতের একটি আঙুল কাটা পড়ে। পরে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান তিনি।

হত্যাকাণ্ডের পরদিন অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় (বর্তমানে প্রয়াত) শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এই মামলায় ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ আদালতে ছয় জঙ্গির বিরুদ্ধে অভিযাগপত্র জমা দেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল। মামলায় ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।

জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্যরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল বলে পুলিশের ভাষ্য।

ওই বছরের ১১ এপ্রিল ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেন। পরে গত বছরের ১ অগাস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন তিনি।

মামলার আসামিরা হলেন- চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, মো. আরাফাত রহমান ও শফিউর রহমান ফারাবি।

আসামিদের মধ্যে প্রথম দুজন পলাতক আছেন।