ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলের শতবর্ষপূর্তিতে হলটির আবাসিক ছাত্র শহীদ আসাদকে স্মরণীয় করে রাখতে হল ছাত্র সংসদের সার্বিক সহযোগিতায় পাঠাগারটি নির্মাণ করা হয়।
বুধবার বিকেলে শহীদ আসাদের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে পাঠাগারটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল।
১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ১১ দফা কর্মসূচির মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে জীবন দেন ছাত্রনেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র আসাদুজ্জামান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ঢাকা হল, বর্তমানে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের একজন আবাসিক ছাত্র ছিলেন।
আসাদের মৃত্যুর জের ধরে ওই বছর ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ছয় দফা ও ছাত্রদের ১১ দফার ভিত্তিতে সর্বস্তরের মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার নামে ঢাকাসহ সারা বাংলার রাজপথে, সংঘটিত হয় উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান।
“একটি জাতিরাষ্ট্র উপহার দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে তিনি নিজের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন। এটি হচ্ছে বীরের মৃত্যু। এই মৃত্যু সফলতার আসন। হয়তো অল্প বয়সে তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন কিন্তু ইতিহাস যতদিন লিপিবদ্ধ থাকবে ততদিন আসাদের নাম থাকবে।”
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আসাদের ছোট ভাই ড. নুরুজ্জামান হক।
ভাইয়ের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, “আমার ভাই এই হলে (ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল) অর্ধ যুগ ছিলেন। আসাদ ভাই সেদিন নিজেকে ও তার পরিবারকে উপেক্ষা করে নিজ প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন। ঊনসত্তরের সেরা দশজন নায়কের মধ্যে আসাদ একজন।”