বুধবার কমিশনের এক সভায় এসব অভিযোগপত্র অনুমোদন দেওয়া হয় বলে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরিশালে কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়ে ওই তিন মামলা করেন।
এক মামমলায় সাবেক এই সাংসদের সঙ্গে তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকেও আসামি করা হয়।
পরে মামলার বাদী আলী আকবর নিজেই তদন্ত করে কমিশনে প্রতিবেদন দিলে অভিযোগপত্রগুলো অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানান দুদক কর্মকর্তা প্রনব।
তিনি বলেন, "শিগগিরই অভিযোগপত্রগুলো আদালতে দাখিল করা হবে।"
আউয়ালের বিরুদ্ধে এক মামলায় অভিযোগ, তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যহারের মাধ্যমে ছয়জন ভুয়া ব্যক্তিকে ভূমিহীন দেখিয়ে সরকারি খাস জায়গা লিজ নিয়ে স্ত্রীর মালিকানা দেখিয়ে সেখানে তিনতলা ভবন নির্মাণ করেন। ভবনটি পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
এই অভিযোগে আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় একটি মামলা করা হয় বলে জানান প্রণব।
একই প্রক্রিয়ায় পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলা ডাকবাংলোর কাছে সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে আধুনিক ডাকবাংলো নির্মাণের অভিযোগে আউয়ালের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করা হয়।
আউয়ালের বিরুদ্ধে তৃতীয় মামলায় অভিযোগ, পিরোজপুর শহরের খুমুরিয়া এলাকার রাজারপুকুর নামে পরিচিত জায়গায় ৪৪ শতক সরকারি খাস জমি ঘিরে দেয়াল নির্মাণ করে দখলে রাখার অভিযোগে।
এছাড়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রায় ৪৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ কে এম এ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক।
মামলা দুটিতে এ কে এম এ আউয়ালের বিরুদ্ধে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার এবং লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
পরে এই দুই মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
পিরোজপুর-১ আসন থেকে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর দুইবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য হন আউয়াল।