ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম সাকলায়েনের নেতৃত্বে একটি দল মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সজল, মুসা, বাচ্চু, সজীব, মুন্না ও সিদ্দিক। তাদের কাছ থেকে একটি পিকআপ ভ্যান, দেশীয় অস্ত্র, সাত হাজার টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
“সে সময় অজ্ঞাতনামা ডাকাতরা পিকআপ ভ্যানে এসে কারওরান বাজারে যাবে বলে যাত্রী হিসেবে তাদের গাড়িতে ওঠায়। পিকআপে ওঠার সাথে সাথে সেখানে যাত্রীবেশে বসে থাকা ডাকাতরা তাদের টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং ধাক্কা দিয়ে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে দেয়। ওই ঘটনায় আপন মিয়া মারা যান।”
গ্রেপ্তার ছয়জন ওই চক্রের সদস্য জানিয়ে হাফিজ আক্তার বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বলেছে, সাধারণত রাত ১১/১২টার পর তারা ভাড়া করা পিকআপ নিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বের হত। আব্দুল্লাহপুর থেকে কারওরান বাজার, রামপুরা থেকে যাত্রাবাড়ী, যাত্রাবাড়ী থেকে ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় পিকআপ নিয়ে তারা ডাকাতি করত।
“ওই পিকআপের সামনের সিটে ৩ জন বসত, বাকিরা যাত্রী বেশে পিকআপের পিছনে থাকত। গরীর যেসব এলাকায় মাছ, ফলমূল ও সবজির পাইকারি আড়ত বসে, সেখানে যেসব ব্যবসায়ীরা মালামাল কিনতে যান, তাদের টার্গেট করে পিকআপের যাত্রী হিসেবে তুলত তারা।”
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম সাকলায়েন বলেন, গ্রেপ্তার সজল, মুসা, বাচ্চু এবং সজীবের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় ডাকাতি ও খুনের মামলা এবং সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে একই থানায় একটি নিয়মিত (ডাকাতি) মামলা করা হয়েছে। পলাতক রফিককেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।