বুধবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের দুইজন সদস্য এই দাবি তোলেন।
লালমনিরহাট-১ আসনে সরকারি দলের মোতাহার হোসেন বলেন, “করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ভার্চুয়াল ক্লাস হলেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা খুব বেশি উপকৃত হতে পারছে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
একই দাবি জানান সরকারি দলের আরেক সংসদ সদস্য সাবেক হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।
তিনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।”
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশে করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কওমি মাদ্রাসা বাদে অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা ছিল। কয়েকদফা ছুটি বাড়িয়ে সেই সময় ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে গতবছর পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়নি সরকার।
তবে শিক্ষার্থীদের কোথায় দুর্বলতা তা বোঝার জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।
আর গতবছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ফল ঘোষণা করা হবে অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলফলের ভিত্তিতে।
এদিকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মোতাহার হোসেন বলেন, “তিস্তা নদী আমার এলাকার দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নদীতে পানি নেই। হেঁটেই নদী পার হওয়া যায়। ভারত থেকে যে পানি আসে তা খুব সামান্য। এতে আবাদের কাজ হয় না। তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন হল না। যত দ্রুত সম্ভব এই চুক্তি করা গেলে ওই অঞ্চলের মানুষ যথেষ্ট উপকৃত হবে।”
সরকারি কাজে পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহার নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সরকারি দলের সাংসদ আনোয়ারুল আবেদিন খান।
তিনি বলেন, “২০১৯ সালে সংসদে পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহার নিয়ে একটি আইন পাস হয়েছিল। কিন্তু আইন পাসের পর তা যদি বাস্তবায়ন না হয় তাহলে এটি করার অর্থ কী? স্থানীয় সরকার, গণপূর্ত, শিক্ষা প্রকৌশল কোনো বিভাগই টেন্ডারে পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহারের কথা উল্লেখ করে না। যে কারণে এই ইট ব্যবহার হচ্ছে না।”
তিনি বলেন, “এক কিলোমিটার রাস্তা করতে ৮৫ লাখ টাকা লাগে। প্রধানমন্ত্রী টাকা দিচ্ছেন। কিন্তু রাস্তা করার পর ছয়মাসও রাস্তা ধরে রাখা যায় না।”
অন্যদের মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সরকারি দলের এস এম শাহজাদা, সংরক্ষিত নারী আসনের খালেদা খানম, স্বতন্ত্র সাংসদ রেজাউল করিম প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।