মঙ্গলবার ভোরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি ব্লকের ২১ নম্বর সড়কের ৭৯২ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে ভাটারা থানার ওসি মো. মোক্তারুজ্জামান জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নাজকে ফ্যানের সঙ্গে শাড়ি পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে নাজের বাসায় নিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
২১ বছর বয়সী নাজ ওই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন জানিয়ে ওসি বলেন, নাজের বাবা মনিরুল ইসলাম দুপুরে গ্রামের বাড়ি খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন। আগের রাতে নাজের সঙ্গে ফোনে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার রাত ১১টার পর থেকে নাজের সঙ্গে তার বাবা যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। পরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এ ফোন করে বিষয়টি জানান।
ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, “বাসায় গিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। পরে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত নাজের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।”
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে নাজের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নাজ আত্মহত্যা করেছে। তবে সে যে ফ্ল্যাটে থাকত সেখানে একটি সিসি ক্যামেরা আছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এনে তদন্ত করে দেখা হবে,” বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় ভাটারা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।