‘সোনার বার’ ছিনতাই: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ৯০ ভরি ওজনের দুটি সোনার বার ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2021, 03:41 PM
Updated : 20 Jan 2021, 06:13 PM

এরা হলেন- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম সাকিব হাসান (৩৩), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সিপাহী আমিনুল ইসলাম (৩৯) এবং মোহাম্মদ হারুন (৩২), জীবন পাল ও রতন কুমার সেন।

ঢাকার কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মানিকগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর করার মামলায় প্রথমে জীবন ও রতনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সাকিব, সিপাহী আমিনুল এবং তাদের সহযোগী হারুনকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে চেয়েছিল পুলিশ।

আদালত তিনজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বলে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূর আলম জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তাসহ কয়েকজনকে ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করছি।

“যেহেতু তিনি সরকারি কর্মকর্তা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

মানিকগঞ্জের রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী সিদ্দিকুর রহমান গত ১১ জানুয়ারি কোতয়ালি থানায় অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন।

মামলায় তিনি বলেছেন, গত ৭ জানুয়ারি ঢাকায় এসে তাঁতীবাজারের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ৯০ ভরি ওজনের দুটি স্বর্ণের বার কেনেন।

বারগুলো নিয়ে গাড়িতে উঠার সময় তিনজন ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে তাদের গাড়িতে জোরপূর্বক তুলে নেয়। পরে চোখ বেঁধে তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের দিকে নিয়ে টাকা-পয়সা, স্বর্ণের বার ও মোবাইল ফোন রেখে ছেড়ে দেয়।

সিদ্দিকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ব্যবসায়িক অংশীদার স্বর্ণ ব্যবসায়ী ‘আওলাদ হোসেনের জন্য’ তিনি ওই সোনার বারগুলো কিনেছিলেন। অপহরণকারীদের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়ার পর মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে এসে আওলাদ হোসেনকে ঘটনা জানান।

কর্মকর্তা গ্রেপ্তারের বিষয়ে বক্তব্য জানতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আহসানুল জব্বারকে ফোন করলে তিনি কথা বলতে রাজি হাননি।

 “আমি এ বিষয়ে কোনো কথা বলব না,” বলেন তিনি।