মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের কাছে তিনি জবানবন্দি দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন। তবে এদিন তা শেষ হয়নি। বুধবার ফের মামলাটির শুনানির দিন রয়েছে।
পরিদর্শক কবীর আদালতে বলেন, তদন্তভার গ্রহণ করে তিনি মামলার আলামত, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, জব্দ তালিকা, লাশের চালানের কপি, সুরতহাল প্রতিবেদন করেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মানচিত্র, সূচিপত্র অঙ্কন করেন। বুয়েটের শেরেবাংলা নগর হলের প্রাধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে দুটি সিসি ক্যামেরা ও অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করেন।
মামলার তদন্তভার গ্রহণ করার পর এজহারনামীয় নয়জন এবং এজাহার বহির্ভূত একজন আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
পরে তাকে আসামি মেহেদী হাসান রবিন, মিজানুর রহমান, মুন্না, তামিম বিল্লাহ ও অনূক সরকারের পক্ষে জেরা করেন তাদের আইনজীবীরা।
মামলায় এখন পর্যন্ত ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। মামলার ২৫ আসামির মধ্যে তিনজন পলাতক। বাকি ২২ জন কারাগারে আছেন। এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। আসামিদের মধ্যে ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে পিটুনিতে মারা যান বুয়েটের আবরার ফাহাদ। পরদিন ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহ।
এই মামলায় গতবছরের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ জোনের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।