পঞ্চম ধাপে ৩১ পৌরসভার ভোট ২৮ ফেব্রুয়ারি

দেশের তিন শতাধিক পৌরসভার মধ্যে পঞ্চম ধাপে ৩১টি পৌরসভায় ভোট হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2021, 12:59 PM
Updated : 19 Jan 2021, 02:18 PM

সোমবার নির্বাচন কমিশন সভায় এ সময়সূচি চূড়ান্ত হওয়ার পর ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর এসব পৌরসভার ভোটের তফসিল ঘোষণা করেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, বাছাই হবে ৪ ফেব্রুয়ারি। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রচার শেষে ২৮ ফেব্রুয়ারি হবে ভোট।

সেদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট চলবে। এর মধ্যে ৩১ পৌরসভায় ভোট হবে ইভিএমে।

দেশে পৌরসভা রয়েছে মোট ৩২৯টি। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবার চার ধাপে এসব পৌরসভায় নির্বাচন করছে কমিশন।

প্রথম ধাপের তফসিলের ২৪টি পৌরসভায় গত ২৮ ডিসেম্বর ইভিএমে ভোট হয়েছে;  এরপর ১৬ জানুয়ারি ভোট হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের ৬১ পৌরসভায়। তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি এবং চতুর্ধ ধাপে ৫৮ পৌরসভায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে।

আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই পৌরসভার ভোট করতে হয়। স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে পৌরসভায় প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয়েছিল।

ভোটে মানুষের ‘আস্থা বেড়েছে’

পঞ্চম ধাপের তফসিল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর দাবি করেন, ভোটের প্রতি মানুষের আস্থা এখন ‘বেড়েছে’।

“ভোটার উপস্থিতি এখন বেড়েছে। এতে বোঝা যায় ভোটের প্রতি মানুষের আস্থা বেড়েছে এবং সম্পূর্ণ আস্থা আছে। ইভিএমে ভোট দিলে ভোট আরও সুন্দর হয়, এ জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছে।”

পৌর নির্বাচনে সহিংসতা বন্ধে বরাবরের ব্যবস্থাই নেওয়া রয়েছে বলে আরেক প্রশ্নের উত্তরে বলেন ইসি সচিব।

তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়। তবে সব জায়গায় কিছু লোক থাকে, যারা ভালো জিনিসকে ভালো দেখতে চায় না। যখন দেখে ভালো হয়ে যাচ্ছে, তাদের ভালো লাগে না। এজন্য যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকে না, সেখানে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে।

“এটা খণ্ডচিত্র মাত্র, এগুলো সার্বিক পরিস্থিতি না। সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভালো, অত্যন্ত সুন্দর। উদাহরণ হল- প্রচুর মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে নির্বাচনে ভোট দেন।”

আচরণবিধি যাতে সবাই মেনে চলেন, সে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়ে আলমগীর বলেন, “যারা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে বিজয়ী হওয়ার পরও কমিশন চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারে।”

প্রার্থী ও ভোটারদের উদ্দেশ্যে সচিব বলেন, “আমাদের কঠিন বার্তা, কেউ আইন ভঙ্গ করার চেষ্টা করবেন না। নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করলে পরিবেশ যেমন নষ্ট হয়, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়, এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। এতে রাষ্ট্রের যেমন ক্ষতি, তেমনি নিজেরও ক্ষতি; এটা যেন তারা বোঝার চেষ্টা করেন। আইন সবার মঙ্গলের জন্য, সুন্দর নির্বাচনের জন্য।”