রোববার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, “বাহরাইন প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যারা করোনাভাইরাস পরিস্থিতির পূর্বে স্বদেশে ফেরত এসেছিলেন এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাদেরকে ইতোপূর্বে মানামায় অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছিল।
“কিন্তু ৯৬৭ জন প্রবাসী বাংলাদেশি অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। তাদের বিষয়টি বিবেচনার জন্য সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে এবং তাদের তালিকা ইতোমধ্যে বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এখনও যারা রেজিস্ট্রেশন করেন নাই, তাদের রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ আছে।”
সরকার উদ্যোগ নিলেও প্রবাসীদের ফেরত নেওয়ার বিষয়টি বাহরাইন সরকারের ‘একান্ত এখতিয়ারভূক্ত’ বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
তাতে বলা হয়, “করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বাহরাইন সরকার কাউকে জোর করে দেশে পাঠায়নি। অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি করোনা পরিস্থিতিতে বা তার আগে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসেন।
“বাহরাইন সরকার কেবল জেলে অবস্থানরত বা ডিপোর্টেশন ক্যাম্পের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় দেশে ফেরত পাঠায়।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ মাস সাধারণ ক্ষমার আওতায় সেদেশে অবস্থিত ৩০ হাজার অনিয়মিত বাংলাদেশির ভিসা নিয়মিত করা হয়েছে।
“এখনও ২৫ হাজার বাংলাদেশি অনিয়মিত রয়েছে বলে জানা গেছে। অনিয়মিত বা ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ বাংলাদেশিদের নিয়মিতকরণের বিষয়টি বিবেচনার জন্য বাহরাইন সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে।”
২০১৮ সাল থেকে বাহরাইনে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ থাকার কথা জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ”ভিসা পুনরায় চালুর বিষয়ে সরকার জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”