দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনের পরদিন রোববার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তার এমন মন্তব্য আসে।
শনিবার দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় ভোট হয়। গাইবান্ধায় ভোট শেষে’ ব্যালট পেপার ও সরঞ্জাম নিয়ে ফেরত আসার সময় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
আর সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দুই পক্ষের সংঘর্ষে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী একজন নিহত হন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইসি সচিব বলেন, “নির্বাচন সুষ্ঠুই হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী বিষয়ে আচরণবিধিতে বলা রয়েছে- বিজয় মিছিল বের করা যাবে না ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে; কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে ওই প্রার্থী বিজয় মিছিলের মত বের করেছিলেন।
“সেখানে দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটে। এটা মোটেই আমাদের কাম্য নয়। বিজয় মিছিল বের করা যেমন সঠিক হয়নি; তারপর দুষ্কৃতিকারী যে তাকে হত্যা করেছে, এটাও নিন্দনীয়, জঘন্য অপরাধ। সুষ্ঠু নির্বাচনের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য অপশক্তিরা এগুলো করে।”
নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যেন আরো কঠোর অবস্থায় থাকে, সেজন্য তাদের নির্দেশ দেওয়া রয়েছে বলে জানান মো. আলমগীর।
সহিংসতার ঘটনাগুলোর তদন্ত হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন তো সুষ্ঠু হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী ঘটনা দেখার দায়িত্ব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর। ... এটি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তের পর রিপোর্ট এলে বলতে পারব কী হয়েছে, কোনো অবহেলা রয়েছে কিনা, কী কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।”
তবে ওই ঘটনায় আইন শৃঙ্খরাবাহিনীকে ‘দোষ দেওয়া যায় না’ বলেও মন্তব্য করেন ইসি সচিব।
“বিষয়টি হলো-মিছিলই বের করা যাবে না। তারা তো আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সামনে বের করেনি, অন্য জায়গায় করেছে। সেখানে তো আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কেউ ছিল না।
“আমার নিরাপত্তা আগে আমাকে নিশ্চিত করতে হবে। তারপর আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী আমাকে সহায়তা করবে।... ভোটের পর নির্বাচনী মালামাল সুরক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।”
মো. আলমগীর বলেন, নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রত্যেকটি নাগরিকের ‘নিজেরও’। এরপর কোথাও শঙ্কা বোধ করলে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে জানাতে হয়।
“তখন যদি সহায়তা না করে, তখন আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে দোষ দিতে পারি। তার আগে তো নয়।”