রোববার জাতীয় কবিতা পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত আসে।
প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি সকালে জাতীয় কবিতা উৎসবের উদ্বোধন হলেও এ বছর তা হচ্ছে না।
পরিষদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদের সভাপতিত্বে পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয় যে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এবার ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় কবিতা উৎসব হচ্ছে না। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে উৎসবের নতুন তারিখ ও সময় জানানো হবে।
সভার শুরুতে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, শিল্পী মুর্তজা বশীর, কবি বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, সাংস্কৃতিক কর্মী কামাল লোহানী, শিল্পী আজাদ রহমান, অজয় কর, অভিনয়শিল্পী আলী যাকের, কবি আবুল হাসনাত, কথাসাহিত্যিক রাহাত খান, কথাসাহিত্যিক রশীদ হায়দার, কবি আলম তালুকদার, নাট্যকার মান্নান হীরা, কবি হিমেল বরকত, কবি আয়াত আলী পাটওয়ারীসহ শিল্প-সাহিত্য অঙ্গন ছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গনের যাদের বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে হারিয়েছে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
১৯৮৭ সালে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় যাত্রা শুরু করে জাতীয় কবিতা পরিষদ।
জাতীয় কবিতা পরিষদের মঞ্চ থেকে যুদ্ধাপরাধের বিচারের পাশাপাশি স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, গণতন্ত্র হনন, ও বর্বরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে বারবার। এর নানা আসরে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে কবিরা যোগ দিয়েছেন।