পি কে হালদারের ‘অর্থ পাচার’: ৪ জনকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 14 Jan 2021 08:17 PM BdST Updated: 14 Jan 2021 08:17 PM BdST
প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ‘আত্মসাৎ ও পাচারের’ অভিযোগ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সংস্থার উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
তারা হলেন- পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের এমডি সামী হুদা, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আহমেদ জামাল, সিএফও মানিক লাল সমাদ্দার ও হেড অব ক্রেডিট মো. মাহমুদ কায়সার।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক কার্যালয়ের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সামী হুদা বলেন, “দুইটা লোনের ব্যাপারে আমাকে ডাকা হয়েছে। ২০১৭ সালে দুটি কোম্পানি ক্লায়েন্টকে আমরা লোন দিয়েছিলাম। ২১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ও ৩০ কোটি টাকার দুইটি লোন। ২০১৯ সালে সেটা অ্যাডজাস্টমেন্ট হয়েছে। লোন দুটি দেওয়ার প্রসিডিওর বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছেন তারা (দুদক)। ”
২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে পিপলস লিজিং থেকে কোনো অর্থ বের হয়নি দাবি করে প্রতিষ্ঠানটির এমডি সামী হুদা বলেন, “আমি ২০১৬ সালে এই প্রতিষ্ঠানে যোগ দেই। এর আগে যদি কোনো আর্থিক অনিয়ম হয়ে থাকে তার সাথে তো আমি সম্পৃক্ত না।”
২০০৯ সালে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পি কে হালদারের সঙ্গে কাজ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “সেই সময় তার সাথে পরিচয় হয়। এরপর দুইজনে দুই প্রতিষ্ঠানে চলে গেলে পি হালদারের সাথে আমার আর যোগাযোগ নেই।”
পি কে হালদারের সঙ্গে এখনও কোনো যোগাযোগ নেই বলে দাবি করেন সামী হুদা।
এর আগে গত ১০ জানুয়ারি পি কে হালদারের অনিয়মের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এই চারজনকে তলব করে নোটিস দিয়েছিল দুদক।
আইএলএফএসএল গ্রাহকদের অভিযোগের মুখে পি কে হালদার বিদেশ পালানোর পর গত বছরের ৮ জানুয়ারি দুদক তার বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে।

পিকে হালদার
এই চার কোম্পানি হল- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।
এসব কোম্পানি থেকে তিনি ঋণের নামে বিপুল অংকের টাকা সরিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন বলে তদন্তকারীদের ভাষ্য।
দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, পি কে হালদার তার নিজের, আত্মীয়দের, বন্ধু ও কর্মচারীদের নাম ব্যবহার করে আটটি কোম্পানিতে ৬৭ কোটি ৩৫ লাখ ৪৪ হাজার ১৯৯ টাকা বিনিয়োগ করেছেন, যার ‘বৈধ কোনো উৎস’ অনুসন্ধানে মেলেনি।
এর মধ্যে সুখাদা লিমিটেড নামের একটি কোম্পানিতে অবন্তিকা বড়াল, প্রীতিষ কুমার হালদার এবং সুস্মিতা সাহার নামে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে, যা আসলে পি কে হালদারের টাকা বলে দুদকের ধারণা।
অবন্তিকাকে বুধবারই গ্রেপ্তার করে দুদক। পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদারসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাই কোর্ট।
-
সুনাম ক্ষুণ্ন করতে সহিংসতা করে: ইসি সচিব
-
করোনাভাইরাস: জাতীয় কবিতা উৎসব স্থগিত
-
দীপন হত্যা: বহিষ্কৃত মেজর জিয়াসহ ৮ আসামির সর্বোচ্চ সাজা চায় রাষ্ট্রপক্ষ
-
খসড়া প্রকাশ: ভোটার তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ১৫ লাখ নাম
-
ভিডিও কনফারেন্সে হবে ই-নামজারি ও মামলার শুনানি
-
ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্য বিএডিসির
-
এনআরবির দুই পরিচালকের ব্যাংক হিসাব চায় দুদক
-
ইউনাইটেডে অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতিপূরণের নির্দেশ ফের স্থগিত
সর্বাধিক পঠিত
- নোয়াখালীতে ফের গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলা
- দ্বিতীয় ধাপের ভোটে মেয়র হলেন যারা
- তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে তামিমের ডেপুটি
- সিরাজগঞ্জে ফল ঘোষণার পর সংঘর্ষে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী নিহত
- করোনাভাইরাস: সাড়ে আট মাসের সর্বনিম্ন রোগী শনাক্ত
- অঁজিকে হারিয়ে শীর্ষে পিএসজি
- সিদ্ধান্তের ভার মেসির ওপর ছাড়লেন কোচ
- বিমানের সহযাত্রী করোনাভাইরাস পজিটিভ, কোয়ারেন্টিনে ৪৭ খেলোয়াড়
- টিভি সূচি (রোববার, ১৭ জানুয়ারি ২০২১)
- ভোটে জিতে কাদের মির্জা বললেন, কথা বলে যাব