বুধবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন মিলনায়তনে আয়োজিত ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “মাদক নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। মাদক শুধু উদ্ধার করলে হবে না, এর রুট পর্যন্ত যেতে হবে। প্রযুক্তিগত পদ্ধতি প্রয়োগের পাশাপাশি ম্যানুয়াল সোর্স নিয়োগের মাধ্যমে বস্তিসমূহ মাদকমুক্ত করত হবে।
“মাদকসেবীদের চিহ্নিত করে তাদের মা-বাবা, অভিভাবকদের সাথে কথা বলতে হবে। তারা যেন সুপথে ফিরে আসতে পারে তার জন্য কাজ করতে হবে।”
সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “শুধু পাহারা দিয়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। বিভিন্ন অপরাধের সাথে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে, আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
এছাড়াও বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার জন্য পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সভায় ডিএমপির আটটি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে মিরপুর বিভাগ।
নয়টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। আর আটটি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ।
এছাড়াও ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার ৫৮ জন কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার। বিশেষ ক্যাটাগরিতে প্রসিকিউশন বিভাগ, আইএডি বিভাগ, উপ-পুলিশ কমিশনার, (স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ বিভাগ) ও উপ-পুলিশ কমিশনারদের (ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগ) পুরস্কৃত করা হয়।
এছাড়াও বিট পুলিশিং কার্যক্রম সংক্রান্ত পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) এ এফ এম মাসুম রব্বানী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) হাফিজ আক্তারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।