দীপন হত্যা মামলায় সাক্ষ্য শেষ, যুক্তিতর্ক ১৭ জানুয়ারি

প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় এক আসামির পক্ষে সাফাই  সাক্ষ্য শেষে ১৭ জানুয়ারি যুক্তিতর্কের জন্য রেখেছেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Jan 2021, 04:25 PM
Updated : 11 Jan 2021, 04:25 PM

সোমবার আসামি খায়রুল ইসলামের পক্ষে চট্টগ্রামের পোশাক ব্যবসায়ী তার ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর আলম সাফাই সাক্ষ্য দেন।

সাক্ষ্যে তিনি দাবি করেন, খায়রুল জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত নয়। এই সাক্ষীর ভায়রার দোকানে কাজ করতো। ঘটনার দিন সারা সময় সে ওই দোকানে ছিল। ঢাকায় ছিল না।

“তাকে ডাবলমুড়িং থানার মুহুরিপাড়াড়া উত্তর আগ্রবাদের বাসা থেকে রাত ১১টা সাড়ে ১১টার দিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গ্রেপ্তার করে। তাকে এক-দেড় মাস পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ডাবলমুড়িং থানার পুলিশ জিডি গ্রহণ করেনি। পরে তাকে ঢাকার কমলাপুর থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।”

পরে এই সাফাই সাক্ষীকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে গোলাম ছারোয়ার জাকির জেরা করেন। আর খাইরুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নজরুল ইসলাম।

এর আগে ৪ জানুয়ারি  মামলার সকল আসামি নিজেদের নিদোষ দাবি করে ন্যায় বিচার চান। বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ শুনানি করতে পারেননি।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুস সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার এবং শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের।

এদিন কারাগারে থাকা ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক তাদের বিরুদ্ধে দেয়া সাক্ষ্যপড়ে শোনান। তাদের বক্তব্য জানতে চাইলে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এ সময় আসামি খায়রুল ইসলামের আইনজীবী নজরুল ইসলাম তার মোয়াক্কেল সাফাই সাক্ষ্য দেবেন বলে জানান।

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন বিকেলে তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে ৮ জনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।