ঢাকায় বন্ধুর বাড়িতে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

ঢাকার কলাবাগানে এক বন্ধুর বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে এক স্কুলছাত্রী, যার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ও লেভেলের ওই ছাত্রীর মৃত্যুর পর তার বন্ধুসহ তিন কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান।

যে বন্ধুর বাড়িতে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে, সেই কিশোর পুলিশকে বলছেন, রক্তক্ষরণের পর তিনি তার বন্ধুকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) ঠাকুরদাস মালু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ওই কিশোর ও কিশোরীর ‘দৈহিক সম্পর্ক’ ঘটেছে বলে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই কিশোরীকে তার ছেলে বন্ধু অসুস্থ অবস্থায় আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে যান।

উপকমিশনার সাজ্জাদুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। তখন লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান তারা।

“ওই কিশোরীরের তিন বন্ধুও খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসেছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুরো ঘটনা তাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

পুলিশ জানায়, নিজের বাসায় গ্রুপ স্টাডির কথা বলে ওই কিশোরী তার কিশোর বন্ধুর বাসায় গিয়েছিল। তার বন্ধুর বাসায় ওই সময় আর কেউ ছিল না।

কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) ঠাকুরদাস মালু বলেন, “ওই বাসা থেকে বেশ কিছু আলামত জব্দ করা হয়েছে। যেখানে শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ মিলেছে। ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে।”

উপকমিশনার সাজ্জাদুর বলেন, “ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ধর্ষণের বিষয়টিও মাথায় রেখে সব ধরনের নমুনা রাখা হয়েছে। আমরা সব দিক বিবেচনায় এনে তদন্ত করছি।”

ওই কিশোরীর পরিবার রাত অবধি কোনো মামলা করেনি।

“পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে,” বলেন উপকমিশনার সাজ্জাদ।