এক মাসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে ঢাকা মহনগর পুলিশের কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা রায়হানুজ্জামান এখন ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানায় কর্মরত।
যে আসামির সঙ্গে ফোনালাপের অভিযোগ উঠেছে, সেই আসামির জামিন শুনানিতে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার তদন্তের আদেশ দেয়।
আদালতে আসামির আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ।
২০১৮ সালের ৯ জুন মিরাজ হাওলাদার ওরফে সোহাগ নামের এক বাস ম্যানেজারের কাছে হেরোইন ও ২১টি ইয়াবা উদ্ধারের পর তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
সে মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর হাই কোর্টে আবেদন করেন সোহাগ।
আবেদনের শুনানিতে তার আইনজীবী একটি মোবাইল কললিস্ট আদালতে দাখিল করেন, যেখানে এসআই রায়হানুজ্জামানের সঙ্গে আসামি সোহাগের কথোপকথন রয়েছে।
তা দেখে গত ৩ ডিসেম্বর আদালত এ ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে এসআই রায়হানুজ্জামানেকে তলব করে। সেই সঙ্গে আসামি সোহাগকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জামিন দেয়।
সেই আদেশ অনুযায়ী রায়হানুজ্জামান বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বলেন, আসামি সোহাগ তার ‘সোর্স’ হিসেবে কাজ করতেন, বিভিন্ন জায়গার মাদকের তথ্য দিতেন। সে বিষয়ে মাঝে মধ্যে তার সঙ্গে কথা হত।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, “এসআইর ব্যাখ্যা শুনে আদালত এ বিষয়ে তদেন্তর নির্দেশ দিয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৯ মার্চ তারিখ রেখেছেন আদালত।”
এদিকে আসামি সোহাগের জামিনের মেয়াদ আরও ৩ মাস বাড়ানো হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।