২০২০: মহামারীতে দিকহারা শিক্ষা খাত

মুক্তিযুদ্ধের বছরের অর্ধশতক পর ২০২০ সালে এসে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে আবারও শিক্ষার্থীদের বিনা পরীক্ষায় পরের ক্লাসে তুলে দিতে হচ্ছে বাংলাদেশে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকশহীদুল ইসলাম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2020, 05:24 AM
Updated : 29 Dec 2020, 05:46 AM

স্বাধীনতা যুদ্ধের মত এবার শত্রুপক্ষের সঙ্গে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করতে হচ্ছে না। কিন্তু খালি চোখে দেখা যায় না- এমন শত্রুর বিরুদ্ধে এবারের লড়াইয়ে এখনও কূলকিনারা করে উঠেতে পারেনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

মহামারীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে মধ্য মার্চ থেকে। সংসদ টেলিভিশন, বেতার, কমিউনিটি রেডিওর পাশাপাশি ভার্চুয়ালি যতটুকু শিক্ষা কার্যক্রম চালানো গেছে, তাতে আত্মতুষ্টির কিছু দেখছেন না শিক্ষাবিদরা।

তারা বলছেন, শুধু কোভিড-১৯ মহামারীর সময় নয়, পরে দুর্যোগের যে কোনো সময় যাতে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা যায়, নতুন শিক্ষাক্রমে তা অন্তর্ভুক্ত করে সেভাবে অবকাঠামোগত প্রস্তুতি নিতে হবে।

বাংলাদেশে করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। কওমি মাদ্রাসা বাদে অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে।

মহামারী পরিস্থিতির ততোটা উন্নতি না হওয়ায় এ বছর পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। নতুন বছরে আগের রোল নিয়েই নতুন ক্লাস শুরু করবে শিক্ষার্থীরা।

উচ্চ মাধ্যমিকেও এবার চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া যায়নি; এইচএসসি ও সমমানের ফল ঘোষণা করা হবে শিক্ষার্থীদের অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলফলের ভিত্তিতে।

আর অনলাইনে ক্লাস চললেও পরীক্ষা বন্ধ থাকায় উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘমেয়াদী সেশনজটের মুখে পড়তে যাচ্ছে এবার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদের অধ্যাপক এম ওয়াহিদুজ্জামান মনে করেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক খাতকে চাঙ্গা রাখার চ্যালেঞ্জ যতটা ভালোভাবে সামলানো গেছে, সেই তুলনায় শিক্ষা খাতে ততটা পারা যায়নি।

“এখানে ফিলোসোফিটা মানুষের জীবন আগে, তারপর শিক্ষা,” বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন তিনি।

অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “তারপরেও আমরা ভার্চুয়াল সিস্টেমে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে রেখেছি। কিন্তু এখানে লিমিটেশনটা হল ডিজিটাল বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছি, কিন্তু কোথা থেকে এগিয়েছি? আমরা ছিলাম অনেক অনেক পেছনে।

“শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক জায়গায় যোগ্য নেতৃত্ব নেই। মহামারীতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ভূমিকা আছে? অনলাইন এডুকেশন, অনলাইন ডিগ্রি এগুলো আমরা করতে পারিনি।”

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সংসদ টিভিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির ক্লাস সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

কীভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো টিকে থাকবে সেই প্রশ্ন রেখে অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, “একটা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অবকাঠামো হয়নি, কোভিডের মধ্যে আমরা এই শিক্ষাটা পেয়েছি। আমরা সেভাবে কাজ করছি, সেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি।

“করোনাভাইরাস মহামারীর পরে আমরা কীভাবে এগোব, সেই লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। নতুন শিক্ষাক্রমের মধ্যে এসব বিষয় রাখতে হবে, কারিকুলামকে আরও আধুনিক ও স্মার্ট করতে হবে।”

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধাপে ধাপে খোলার পক্ষে নিজের মত তুলে ধরে ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, স্কুলে দশম শ্রেণির ক্লাস খোলা যেতে পারে, কলেজের দ্বাদশ শ্রেণি খুলে এইচএসি পরীক্ষার্থীদের পাঠদান করা যেতে পারে। অন্য ক্লাসগুলোর একেকদিন একেক ক্লাস খুলে রাখলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, পাঠদানও চলবে।

“পড়া মুখস্ত না করিয়ে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট করালে বেশি শিখতে পারে। কারণ ইনকোর্স দিলে মুখস্ত করে দিতে পারে। শুধু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে না। প্রযুক্তি সব সময়ই ব্যবহার করতে হবে। কারিকুলামের ভেতরে এটা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

“আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রচুর কনটেন্ট রাখা হয়েছে। কোভিড আমাদের সুযোগ দিয়েছে এটাকে কেটে কমিয়ে দেওয়ার। কারিকুলামের বড় এই ত্রুটি ঠিক করতে হবে। কোভিডকে কেন্দ্র করে এসব ঠিক করা গেলেও কিন্তু খারাপের ভালো।”

মহামারীর মধ্যে বিপাকে পড়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে এখন যেসব ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলোকে পাঠ্যক্রমের মধ্যে অন্তর্ভুক্তের পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদের অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান।

“এখন যেসব ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করছি, সেটাকে কোভিডকালীন না রেখে কারিকুলামের ভেতর সেটাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কারণ কারিকুলামেই তো এটা নেই, কারিকুলাম সেভাবে করতে হবে।”

মহামারীর মধ্যে কবে থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া যাবে তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়ে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছেন, একটা বছর হারিয়ে গেল।

“অনলাইনে বা অন্য মাধ্যমে পড়াশোনা ঠিকমত হয়নি, সকলে পায়নি। যারা পেয়েছে অনেকের ইন্টারনেট ঠিকমতো কাজ করেনি, একটা বছর হারিয়েই গেল।

“অনলাইন কাজ করবে না। যারা গ্রামে থাকে, যাদের একসেস নেই, যারা গরিব মানুষ তারা তো অনলাইনে পারবে না, খরচ কোথা থেকে যোগাবে?”

বাংলাদেশের যেসব কোম্পানি ইন্টারনেট সেবা দিয়ে থাকে, তাদের সেই সেবায় খুশি নন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “এটাও (ইন্টারনেট) কিন্তু ঘন ঘন বন্ধ হয়, একটানা চলে না, মাঝেমাঝে ইন্টারাপ্ট হয়। এটা দিয়ে তো কুলাবে না।”

২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকার মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের ফুলকুঁড়ি কিন্ডারগার্টেন কর্তৃপক্ষ স্কুল চালাতে না পেরে বিক্রির নোটিস ঝুলিয়েছিল গত জুলাই মাসে, তবে এক ব্যক্তির সহায়তায় আপাতত টিকে রয়েছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হলে সেখানে যে ভিড় হবে, তা নিয়ে ভাবনা রয়েছে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর।

তিনি বলেন, “আমাদের এত লোকসংখ্যা। অন্য জায়গায় স্কুল খুললে এত ভিড় হয় না। আমাদের স্কুল খুলে দিলে ভিড় হয়। আমরা পিছিয়ে গেলাম।

“আমরা আশায় থাকব যে টিকা আসবে, গরমকাল আসবে, তখন আমরা আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করতে পারব। শিক্ষায় ক্ষতিটা অন্য যে কোনো কিছুর থেকে বেশি হয়ে গেল।”

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগামী বছরের শুরু থেকে যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হয়, তাহলে তিন মাসের কোর্সের ওপর অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক কার্যক্রম চালু রাখতে চান তারা।

আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘হয়ত খোলা সম্ভব হবে না’ জানিয়ে তিনি বলেন, “সেক্ষেত্রে অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে শিক্ষার্থীদের অ্যাটাচমেন্টে রাখা হবে, আমরা মার্চ পর্যন্ত একটি পরিকল্পনা তৈরি করছি।

“আশা করছি মার্চের পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে। এরপরেও যদি খোলা না যায় তাহলে হয়ত আরও তিন মাসের জন্য অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক কার্যক্রমে যাওয়া হবে।”

অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর ছাত্র-ছাত্রীদের যে ক্ষতিটুকু হয়েছে তা পরের বছরের পাঠের সাথে ঘাটতি পূরণের জন্য শিক্ষক নির্দেশিকা তৈরি করা হচ্ছে। নিচের ক্লাসের যে বিষয়টি না পড়ে কোনো শিক্ষার্থী উপরের ক্লাসে উঠেছে, নতুন ক্লাসে সে ধরনের বিষয় পড়ার সময় আগের ক্লাসের বিষয়টিও পড়ানো হবে।

“করোনা পরিস্থিতি কমে গেলেও ভার্চুয়াল ক্লাস অব্যাহত রাখা হবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ের ডিজিটাল ভার্সন রাখা হবে, যেন শিক্ষার্থীরা যে কোনোভাবে সেগুলো আয়ত্ত্ব করে নিতে পারে।”

ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সংগঠন ‘অভিভাবক ঐক্য ফোরামের’ সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মহামারীর মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষতি দূর করার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের ছুটি বাতিল করে অতিরিক্ত ক্লাস নিতে হবে।

“যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হয় তাহলে আরও ভালোমতো অনলাইন ক্লাস নিতে ডিভাইসসহ আনুসঙ্গিক উপকরণগুলো সরকারকে বিনামূল্যে ব্যবস্থা করতে হবে।”

দুলু বলেন, ২০২১ সালেও যদি অনলাইন ক্লাস চালাতে হয়, তবে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এই ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেন বৈষম্য সৃষ্টি না হয়, কোনো শিক্ষার্থী যেন ঝরে না পড়ে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে যেভাবে ভার্চুয়ালি শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে এসব অব্যাহত থাকবে।

“ভার্চুয়ালি আরও ভালোভাবে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায় সে বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নেব। পাশাপাশি বিভিন্ন বিকল্প নিয়েও আমাদের ভাবতে হবে।”

করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে টিউশন ফি ৫০ শতাংশ কমানোর দাবিতে মানববন্ধনে একজন অভিভাবক। ফাইল ছবি

বেতন- ফি নিয়ে সঙ্কট

মহামারীর মধ্যে আরেকটি বড় সঙ্কট দেখা দিয়েছে সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের মধ্যে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হওয়ার পরপরই বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন ক্লাস নেওয়া শুরু করলেও তাতে পুরো বেতন দেওয়ার যৌক্তিকতা খুঁজে পাননি অভিভাবকদের অনেকে।

মহামারীর মধ্যে বেতন-ফি কমানোর দাবিতে ঢাকার রাস্তায় কর্মসূচিও পালন করেছেন অভিভাবকরা। অপরদিকে এই সময়ে শিক্ষার্থীদের বেতন বকেয়া পড়ায় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে অনেক স্কুল।

কয়েক মাস ধরে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের পর গত ১৮ নভেম্বর সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলো শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নিতে পারবে।

তবে এর বাইরে টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ এবং অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত কোনো ফি নেওয়া যাবে না।

ধানমন্ডিতে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের সামনে অভিভাবকদের মানববন্ধন (ফাইল ছবি)

তবে এই নির্দেশনার পরেও বেতন-ফি নিয়ে জটিলতা কাটেনি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরাসরি ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়ায় অনেক অভিভাবক টিউশন ফি পরিশোধ করতে চাইছেন না।

আর অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, স্কুলে ভর্তির সময় তারা যে এককালীন টাকা নেন, তা না নিলে প্রতিষ্ঠান চালানো কঠিন হয়ে পড়বে তাদের জন্য।

এদিকে বেশি খরচের ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতে বেতন-ফি কমানোর দাবিতে অভিভাবকরা আন্দোলন করলেও তারাও খুব একটা সুবিধা পাননি। কোনো কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষ দুই-এক মাসের বেতনে কিছুটা ছাড় দিলেও তাতে অভিভাবকরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি।

আবার দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় অনেক কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে, এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অনেকে পেশা বদলে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালানোর মতো কাজও করছেন। কাজ হারিয়ে অনেকে রয়েছেন দুর্দশার মধ্যে।

২০২১ সাল এই শিক্ষকদের পুরনো পেশায় ফেরার সুযোগ দেবে কি না, তা জানতে অপেক্ষায় থাকতে হবে তাদের।

পুরনো খবর