জুনের মধ্যে মিলবে সাড়ে পাঁচ কোটি টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট এবং কোভ্যাক্সের আওতায় আগামী বছরের জুনের মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ডোজ টিকা পাবে বলে আশা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2020, 11:09 AM
Updated : 27 Dec 2020, 11:09 AM

রোববার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওষুধ এবং টিকার জন্য স্থাপিত গবেষণাগার পরিদর্শন শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, সেরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী তিন কোটি এবং কোভ্যাক্সের আওতায় বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে আরও আড়াই কোটি টিকা পাওয়া যাবে।

“বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেবে মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষকে। তাতে করে মোট মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ভ্যাকসিন বাংলাদেশ জুনের ভেতরে পেয়ে যাচ্ছে। কোভ্যাক্সের প্রতিশ্রুত টিকা মে এবং জুন মাসের ভেতরে পাওয়ার আশা করছি।”

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি তিন কোটি ডোজ টিকার জন্য সরকারের ক্রয়চুক্তি হয়ে গেছে জানিয়ে  স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই টিকার জন্য ক্রয়াদেশও পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

“আমরা আশা করতে পারি, জানুয়ারির শেষের দিকে অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশ অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পাবে। যখনই অ্যাস্ট্রাজেনেকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাবে, তখনই বাংলাদেশ সে ভ্যাকসিন পাবে।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা দেবে বাংলাদেশকে। সে হিসাবে ৩ কোটি ডোজ টিকা আসতে লাগবে ছয় মাস। আর কোভেক্সের টিকাও একবারে দেবে না।

“আমরা প্রতি মাসে ২৫ লাখ মানুষকে টিকা দিতে পারব। সে হিসাবে অক্সফোর্ডের টিকা দিতে লাগবে ৬ ছয় মাস। সব মিলিয়ে সাড়ে পাঁচ কোটি টিকা দিতে প্রায় বছর খানেক সময় লাগবে।”

গরিব দেশগুলোও যাতে টিকা পায়, সেই লক্ষ্যেই গত এপ্রিলে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি বা কোভ্যাক্স নামের একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস বা গ্যাভি এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস বা সিইপিআই।

এই জোট আসছে নতুন বছরে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ৯২টি দেশে ১৩০ কোটি ডোজ টিকা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে। তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য টিকা সরবরাহ করবে তারা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, টিকা পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য কোল্ড চেইনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

“টিকা দেওয়ার জন্য যে স্থানীয় প্রস্তুতি, সেটাও আমরা যথাযথভাবে নিয়েছি। স্টোরেজ করেছি। টিকার তাপমাত্রা মেনটেইন করার জন্য কিছু বাড়তি কোল্ড বক্স লাগবে, সেটার ব্যবস্থাও হয়ে গেছে।”

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওষুধ এবং টিকা পরীক্ষার গবেষণাগার ঘুরে দেখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে নয়টি টিকা দেওয়া হয়, সেগুলো পরীক্ষা হয় এই গবেষণাগারে। করোনাভাইরাসের টিকাও পরীক্ষা হবে এখানে।

বাংলাদেশে ওষুধের মান পরীক্ষার জন্য স্থাপিত এই গবেষণাগার গত মার্চ মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান এসময় তার সঙ্গে ছিলেন।

আরও পড়ুন: