করোনাভাইরাসের ‘নতুন ধরনের’ খবর নিয়ে আতঙ্ক নয়: বিসিএসআইআর

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ বলেছেন, তাদের অসমাপ্ত কাজের ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন নিয়ে ‘আতঙ্ক সৃষ্টি করা’ সমীচীন হবে না।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Dec 2020, 10:25 AM
Updated : 24 Dec 2020, 10:25 AM

যুক্তরাজ্যে পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি ‘বাংলাদেশেও রয়েছে’- এমন একটি খবর বৃহস্পতিবার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিসিএসআইআর চেয়ারম্যান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে তাদের একটি গবেষণা চলছে, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় এখনও আসেনি। 

“যে কাজটা আমরা কেবল শুরু করেছি, সেটা নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার কিছু নেই। প্যানিক তৈরি হয় এমন কোনো কথা বলার দরকার নেই।”

গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের ‘অত্যন্ত সংক্রামক’ ওই নতুন ধরনটির সন্ধান মেলে, যা এখন লন্ডনসহ ইংল্যান্ডের বেশ কিছু এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ভাইরাসের ওই ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডসসহ কয়েকটি দেশে পৌঁছে গেছে।

এই পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় প্রতিবেশীসহ ৪০টির বেশি দেশ যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

বিসিএসআইআরের জীবতাত্ত্বিক গবেষণা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম খানের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত নভেম্বরের শুরুতে বাংলাদেশ বিজ্ঞান এবং শিল্প গবেষণা পরিষদ করোনাভাইরাসের পাঁচটি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করে। তাতে পাওয়া মিউটেশনের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাসের ‘মিল রয়েছে’।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পক্ষ থেকে ড. সেলিম খানকে ফোন করলে তিনি ধরেননি।

পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আফতাব আলী বলেন, “সেলিম খান একটা কাজে সিলেট গিয়েছেন। সেখান থেকে ফিরছেন। ফিরলে তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হবে।”

পরে আফতাব আলী শেখ সাংবাদিকদের বলেন, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজটি ‘অনেকদূর’ এগিয়েছে। শিগগিরই সাংবাদিকদের ডেকে চূড়ান্ত ফল জানানো হবে।

“পূর্ণাঙ্গ রেজাল্ট না আসা পর্যন্ত আমরা আপনাদের জানাতে পারছি না। তবে আমরা গত ৬ সেপ্টেম্বর কনফারেন্সে বলেছিলাম মিউটেশন হার নিয়ে,… আপনারা কনসার্ন, এটির ব্যাপারে আমাদের বিজ্ঞানীরা সচেষ্ট আছেন। রেজাল্ট পাওয়া মাত্রই আমরা আপনাদের জানাব।”

পাঁচটি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের তথ্য গণমাধ্যমে কীভাবে এসেছে তা ‘জানেন না’ বলে মন্তব্য করেন বিসিএসআইআর চেয়ারম্যান।

“এটা আপনারা কোথা থেকে জেনেছেন আমি জানি না। আমরা সবসময়ই আপনাদের ডেকে এ রেজাল্ট জানিয়ে দিই। ফাইনাল রেজাল্ট যখন আমরা ডিসক্লোজ করব, তখন আপনারা জানতে পারবেন।”

তবে নতুন যে গবেষণা হচ্ছে, তা নতুন রোগীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা নিয়েই হচ্ছে বলে জানান তিনি।