বৃহস্পতিবার দুই দেশের ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠকে বাংলাদেশের চিলাহাটি এবং ভারতের হলদিবাড়ি অংশের মধ্যে নতুন রেল যোগাযোগের উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সফর বন্ধ থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠকে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান পারস্পরিক নির্ভরতা আমরা আনন্দের সঙ্গে স্বীকৃতি দিই। বেশ কিছু সংখ্যক ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশের উৎপাদন ও সেবাখাতে নিযুক্ত রয়েছেন এবং তারা ভারতে নিজ দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটক এবং চিকিৎসাসেবা গ্রহণকারীকে ভারত গ্রহণ করে থাকে।
“আমি বিশ্বাস করি, উভয় দেশ বিদ্যমান সহযোগিতামূলক ঐকমত্যের সুযোগ নিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে আরও সংহত করে বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক ভ্যালু-চেইন আরও সমৃদ্ধ করতে পারে। আমাদের চলমান যোগাযোগের উদ্যোগগুলি এক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। এর অন্যতম উদাহরণ হল ‘চিলাহাটি-হলদিবাড়ি’ রেল সংযোগ পুনরায় চালু করা।”
১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট দেশভাগের পরও এ পথে রেল চলাচল চালু ছিল। সে সময়ে এ পথে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করত যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন। ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর বন্ধ হয় দুই দেশের মধ্যে রেল চলাচল।
এ রেলপথ আবার চালু হলে বাংলাদেশের মোংলা বন্দর এবং উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ, নেপাল এবং ভুটানের মধ্যে বাণিজ্যিক কার্যক্রম জোরদার হবে বলে সরকার আশা করছে।
সেই সেঙ্গ এই রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশি পর্যটকদের দার্জিলিংসহ উত্তর-পূর্ব ভারতে ভ্রমণ আরও সহজ হবে বলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।