ডিআইজি প্রিজনস পার্থ বণিকের দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্য শুরু

ঘুষ গ্রহণ ও অর্থপাচারের মামলায় বরখাস্ত সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2020, 12:25 PM
Updated : 15 Dec 2020, 02:49 PM

মঙ্গলবার ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের কাছে মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন জবানবন্দি দেন।

তবে মামলার আলামত রাষ্ট্রপক্ষের হাতে না থাকায় বাদী তার নাম ঠিকানা পদবীসহ মাত্র দুই লাইন জবানবন্দি দিতে সক্ষম হন। সে কারণে বিচারক  অবশিষ্ট জবানবন্দি এবং জেরার জন্য আগামী ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।

সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আসামির পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।

গত ৪ নভেম্বর একই আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন।

 গত বছর ২৮ জুলাই সকাল থেকে পার্থ গোপালকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে তার গ্রিন রোডের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

গত ২৪ অগাস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে ডিআইজি পার্থের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। এর আগে ৩১ অগাস্ট ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুদকের দেওয়া এই অভিযোগপত্র আমলে নেন। একইসঙ্গে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ঢাকার ১০ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর  করেন।

গত ২৪ অগাস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ পার্থ গোপাল বণিককে আসামি করে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, বরখাস্তকৃত কারা উপমহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এসব টাকা গোপন করে তার নামীয় কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

২০১৯ সালের ২৮ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপাল বণিকের নিজ ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

 ডিআইজি প্রিজন পার্থ কুমার বণিক ২০১৬ সালের ৮ অগাস্ট চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।