সোমবার নির্বাচন কমিশন এসব পৌরসভার ভোটের তারিখ ঘোষণা করে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর, বাছাই ৩ জানুয়ারি, প্রত্যাহারের শেষ সময় ১০ জানুয়ারি।
ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেন, কমিশনের অনুমোদনের পর সোমবার এই তফসিল দেওয়া হয়েছে। ৬৪টি পৌরসভার সবগুলোতেই ব্যালট পেপারে হবে ভোট হবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে এবার চার ধাপে পৌর নির্বাচন করতে চায় কমিশন। তার মধ্যে তিন ধাপে ১৫০টি পৌরসভার তফসিল হল।
এর আগে প্রথম ধাপের তফসিলের ২৫টি পৌরসভায় ইভিএমে ভোট হবে ২৮ ডিসেম্বর। ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের ৬১ পৌরসভায় ভোট হবে। এর মধ্যে ২৯টি পৌরসভায় ইভিএম এবং ৩২ পৌরসভায় ব্যালটে ভোটগ্রহণ হবে।
আর তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ রেখে সোমবার তফসিল দেওয়া হল।
বাকি যেসব পৌরসভা ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন উপযোগী হচ্ছে, সেসব এলাকায় চতুর্থ ধাপের ভোট হবে।
দেশে মোট পৌরসভা রয়েছে ৩২৯টি। আইন অনুযায়ী, মেয়াদ শেষের আগের ৯০ দিনের মধ্যে স্থানীয় সরকারের এ প্রতিষ্ঠানে ভোট করতে হয়।
স্থানীয় সরকার আইন সংশোধনের পর ২০১৫ সালে প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট হয় পৌরসভায়। সেবার ২০টি দল ভোটে অংশ নেয়।
শ্রীপুর পৌরসভায় মেয়র পদে ভোট ১৬ জানুয়ারি
প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে স্থগিত থাকা গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র পদের নির্বাচনের জন্য পুনঃতফিসল দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নতুন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১৬ জানুয়ারি ওই পৌরসভায় মেয়র পদে ভোট হবে বলে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্মসচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান।
তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত; বাছাই ২৪ ডিসেম্বর ও প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর।
ওইদিন দ্বিতীয় ধাপের ৬১ পৌরসভাতেও ভোটের তারিখ রয়েছে।
শ্রীপুরের মেয়র পদের ভোটের জন্য এর আগে তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। একজন প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ১০ অক্টোবর ভোটগ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন