কবে-কীভাবে বইমেলা, প্রকাশকদের প্রস্তাব চায় বাংলা একাডেমি

খোলা আকাশের নিচে, বিশাল জায়গাজুড়ে যেভাবে প্রতিবছর হয়ে আসছে, আগামী বছরও সেভাবে বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলায় অংশ নিতে চান প্রকাশকরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2020, 09:45 AM
Updated : 13 Dec 2020, 12:22 PM

অন্যদিকে বই মেলা কবে, কিভাবে শুরু যায়, সেজন্য প্রকাশকদের কাছে প্রস্তাব চেয়েছে বাংলা একাডেমি।

কোভিড-১৯ মহামারীর প্রেক্ষাপটে আগামী একুশের বইমেলা আয়োজন নিয়ে রোববার বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল সমিতি এবং পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “তাদের দাবি ছিল ফেব্রুয়ারি মাসে বইমেলা শুরু করা যায় কিনা? আমরা তাদের বলছি, ফেব্রুয়ারির কবে আপনারা বইমেলা শুরু করতে চান, সেই তারিখটি লিখিতভাবে আমাদের জানান। তবে বাংলা একাডেমিকে অবশ্যই দুই মাস সময় দিতে হবে বইমেলা আয়োজনের জন্য এবং সবকিছু নির্ভর করে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উপরে, রাষ্ট্রযন্ত্রের বিবেচনার উপরে, সর্বোপরি মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা যাতে সুনিশ্চিত হয়, সেই বিবেচনার উপরে।”

বইমেলার আয়োজন নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলা একাডেমির পরিচালনা পর্ষদ একটি সভা করে বেশকিছু পরামর্শ লিখিতভাবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় এবিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।

হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেন, “সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সম্প্রীতি দেশে কোভিড পরিস্থিতির অবনতিতে বইমেলা স্থগিত করা হল। পরিস্থিতির উন্নতি হলে বাংলা একাডেমি বইমেলা আয়োজন করবে। তবে অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে একাডেমি ভার্চুয়াল বইমেলার আয়োজন করতে পারে।

“একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি সেমিনার আলোচনা, গ্রন্থ উন্মোচন, লেখক বলছিসহ অন্যান্য আয়োজন ভার্চুয়ালি হতে পারবে। একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ ভার্চুয়ালি বই মেলা আয়োজনের বিষয়ে একাডেমিকে সার্বিক পরামর্শ দেবেন। এই ছিল কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত এবং এটা আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। তাদের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসলে, সেগুলো আমরা কার্যকর করব।”

বাংলা একাডেমিতে বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন প্রকাশকরা।

করোনাভাইরাস মহামারীর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আগামী বছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলা ‘আপাতত স্থগিত রাখতে’ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করা হবে বলে গত শুক্রবার জানিয়েছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক। পাশাপাশি অনলাইনে মেলা আয়োজন করা যায় কিনা সেটিও বলেছিলেন তিনি।

তবে বাংলা একাডেমির এমন সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ।

রোববারের বৈঠকের পর বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, “একটি কথা শোনা যাচ্ছিল, অমর একুশে বইমেলা ভার্চুয়ালি হবে। আজকে আমরা বাংলা একাডেমিতে এসে মহাপরিচালক, সচিব এবং বইমেলা কমিটির সদস্য সচিবের সাথে মতবিনিময় করেছি। আলোচনা শেষে একটা সিদ্ধান্ত এসেছে যে, অমর একুশে বইমেলা চিরাচরিতভাবে যেভাবে হয়, সেভাবেই হবে।

“তারিখ কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। একটি তারিখ নির্ধারণ করে বইমেলা কিভাবে করা যায়, সেরকম একটি প্রস্তাব তৈরি করে আমরা বাংলা একাডেমিকে দেব। একাডেমি সেটি সরকারকে দেবে। সরকার অনুমতি দিলে ফেব্রুয়ারি মাসের যে কোনো তারিখ থেকে বইমেলা শুরু হবে।”