বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
কমিটি গ্যাসের মাত্রাতিরিক্ত অপচয় রোধ করার জন্য দেশব্যাপী গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম বেগবান করার সুপারিশ করে।
বৈঠকে জানানো হয়, গ্যাসের অপচয় রোধে আবাসিক শ্রেণীতে ২০১১ সাল থেকে প্রি–পেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়। আবাসিক শ্রেণীতে গ্যাসের গ্রাহক মোট ৪২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৫৯।
পেট্রোবাংলার আওতাধীন ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানিতে আবাসিক শ্রেণীর গ্রাহকদের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়। এখন পর্যন্ত নিজস্ব ও বৈদেশিক অর্থায়নে কয়েকটি প্রকল্পের আওতায় দুই লাখ ৭৩ হাজার ১০০ আবাসিক শ্রেণীর গ্রাহকের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ যে গতিতে হওয়া উচিত ছিল, তা হচ্ছে না। এ নিয়ে কমিটির অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
“২০১১ সালে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ২০২০ সালে এসেও পাঁচ লাখ গ্রাহকও প্রি-পেইডের আওতায় আসেনি। তাহলে ৪০ লাখের বেশি গ্রাহককে এই মিটার দিতে কতদিন লাগবে? কমিটি দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে বলেছে।”
সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কমিটি তিতাস গ্যাস কোম্পানির অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া, গ্যাসের বিল হালনাগাদ করাসহ সব শিল্প প্রতিষ্ঠানের বকেয়া গ্যাস বিল যথাসময়ে আদায় করার সুপারিশ করে।
বৈঠকে সুনীল অর্থনীতিতে (ব্লু ইকোনমি) সফলতা অর্জনের জন্য প্রণীত সময়সীমা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম শেষ করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম তালুকদার, আছলাম হোসেন সওদাগর, খালেদা খানম, বেগম নার্গিস রহমান এবং নুরুজ্জামান বিশ্বাস বৈঠকে অংশ নেন।