ধর্ষণ: লালবাগ থানার মামলায় রিমান্ডে নূরের তিন সহযোগী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে লালবাগ থানার মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের তিন সহযোগীকে দুইদিন করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্সাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Dec 2020, 07:13 AM
Updated : 3 Dec 2020, 07:13 AM

বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেয়।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ও নাজমুল হাসান সোহাগ এবং সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা।

গোয়েন্দা পুলিশ তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোসহ প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ডের আবেদন করেছিল।

প্রথমে বিচারক বেগম ইয়াসমিন আরার আদালতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে। এরপর বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালতে রিমান্ড শুনানি হয়।

আসামিদের পক্ষে সিরাজুল ইসলাম, খাদেমুল ইসলাম, কাওসার আহমেদ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে হেমায়েত উদ্দিন খান রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।

শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেয়।

এর আগে একই অভিযোগে কোতোয়ালী থানার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ১৫ অক্টোবর সাইফুল ও নাজমুল হুদাকে এবং ৯ নভেম্বর সোহাগকে কারাগারে পাঠানো হয়।

২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। এজাহারে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে নুরুল হক নূরের নাম উল্লেখ করা হয়। এরপর গত ২১ সেপ্টেম্বর বাদী কোতয়ালী থানায় একই অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন ওই শিক্ষার্থী।