ভুয়া এমবিবিএস সনদে ১২ জনকে চিকিৎসক নিবন্ধনের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 02 Dec 2020 11:39 PM BdST Updated: 02 Dec 2020 11:39 PM BdST
চীনের একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভুয়া সনদে ১২ জনকে এমবিবিএস চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ কমিশনের উপ-পরিচালক সেলিনা আখতার মনি বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে সংস্থার পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
মামলায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মো. জাহিদুল হক বসুনিয়া এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন ছাড়াও চিকিৎসক নিবন্ধন পাওয়া ওই ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান দুদক কর্মকর্তা প্রনব।
এই ১২ আসামি হলেন- কুমিল্লার বড়ুরার মো. ইমান আলী ও মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুদেব সেন, টাঙ্গাইলের কালিহাতীর তন্ময় আহমেদ, ভোলার দৌলতখানের মো. মাহমুদুল হাসান, চাঁদপুরের মতলবের মো. মোক্তার হোসাইন, ঢাকার সাভারের মো. আসাদ উল্লাহ, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মো. কাউসার, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রহমত আলী, বাগেরহাট সদরের শেখ আতিয়ার রহমান, ফেনীর দাগনভুঁইয়ার মো. সাইফুল ইসলাম এবং সিরাজগঞ্জ সদরের মো. আসলাম হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, “আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা, জালজালিয়াতি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া এমবিবিএস সনদ ব্যবহারের মাধ্যমে এমবিবিএস ডাক্তার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন সনদ গ্রহণ করেছেন।”
ওই ১২ জন বাংলাদেশি ছাত্র চীনের তাইশান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস পাশ করেছেন বলে মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে সদন জমা দেন।
“তারা ওই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া এমবিবিএস সনদ ব্যবহার করে বিভিন্ন তারিখে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নেন। এক্ষেত্রে তারা কাউন্সিলের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন মর্মে চিকিৎসক হিসেবে নিবন্ধন নম্বর গ্রহণ করে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ইন্টার্ন অনুশীলন করেন। পরে তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত হন।”
দুদকের অনুসন্ধানে তাদের সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই করে এমবিবিএস সার্টিফিকেটগুলো ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে বলে মামলায় বলা হয়েছে।
গত বছরের জানুয়ারিতে দুদক চীনের বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সনদপত্রগুলো যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র পাঠিয়েছিল।
মামলায় আরও বলা হয়, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার সতর্কতা বা নিয়ম-নীতির প্রতিপালন করেনি।
“বিএমঅ্যান্ডডিসি কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশাসনিক কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিনের ওপর প্রার্থীদের নথিপত্রগুলো যাচাই করার কথা, তিনি প্রথমে সঠিকতা যাচাই করে রেজিস্ট্রারের কাছে মূল সনদ ও তার ছায়ালিপি উপস্থাপন করেন। পরে রেজিস্ট্রার জাহিদুল হক বসুনিয়া মূল রেকর্ডপত্র দেখে আবার ছায়ালিপিগুলো সত্যায়িত করেন। সে কারণে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্ট ডকুমেন্টসগুলো সম্পর্কে তারা জ্ঞাত ছিলেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।”
এসব কারণ দেখিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৫/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে।
-
দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে চাই: শেখ হাসিনা
-
রূপসা রেলসেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায়
-
প্রমত্তা পদ্মায় সেতু করাটাই ইতিহাস: প্রধানমন্ত্রী
-
গ্রামীণ টেলিকমকর্মীদের আইনজীবী বললেন, অর্থ পেয়েছি ফি হিসেবে
-
ভিসা অব্যাহতি চুক্তি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে
-
আইন হচ্ছে ‘পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ’
-
দুদকের নতুন ১২ কার্যালয় উদ্বোধন
-
পাকিস্তানে যাতায়াত ছিল যুদ্ধাপরাধী রজব আলীর
সর্বাধিক পঠিত
- নাম বিভ্রাটে ছেড়ে দিয়ে বিয়ের আসর থেকে ফের গ্রেপ্তার
- ব্যাটিং হতাশার ফাঁকে সাকিব-সোহানের ক্যামিও
- বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর ম্যাচ পরিত্যক্ত
- এনামুলকে মনে ধরেছে ডমিঙ্গোর, তবে…
- ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সেতু ভ্রমণের অভিজ্ঞতা
- নড়াইলে অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত: প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি
- রেকর্ড হারানো লারা অভিনন্দন জানালেন বুমরাহকে
- গ্রামীণ টেলিকমকর্মীদের আইনজীবী বললেন, অর্থ পেয়েছি ফি হিসেবে
- ‘পাওয়ারফুল’ সোহানকে নিয়ে ডমিঙ্গোর যে আশা
- ভাড়া কমল বরিশাল-ঢাকা নৌপথে