বুধবার এই মহাসড়কের সাভারের নয়ারহাটে চার লেনের নতুন সেতু নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠান এই তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী কাদের বলেন, “এডিবির অর্থায়নে মহাসড়কের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ণের কাজ চলমান রয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকা থেকে নবীনগর পর্যন্ত চার লেন রয়েছে। এখন নবীনগর থেকে আরিচা পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেন করা হবে।
ঢাকা থেকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সড়কটিকে একটি ‘মডেল সড়কে’ রূপান্তর করার বলেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
“কী করেছি আমরা? খুব বেশি কিছু নয়। ১১টি দুর্ঘটনা প্রবণ স্পট বা ব্ল্যাক স্পট চিহ্নিত করে ডিভাইডার স্থাপন এবং বাঁকগুলো সোজা করে দেওয়া হয়েছে। এতেই এসেছে সাফল্য। এর ধারাবাহিকতায় আমরা পুরো দেশের ১৪৪টি ব্ল্যাক স্পট অ্যাড্রেস করেছি।”
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার, সালেহপুর ও নয়ারহাটে তিনটি সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সেই প্রকল্পের আওতায় নয়ারহাট সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
“চারলেনের সেতু ছাড়াও সেতুর দুই প্রান্তে ছয় লেনের প্রায় ১ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হবে। নির্মাণ করা হবে চারটি বাস-বে, একটি ফুট ওভার ব্রীজ, সেতুর নীচ দিয়ে একটি আন্ডারপাস ও কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ একটি ইউ-লুপ। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে এগুলো নির্মিত হতে যাচ্ছে।”
সড়ক নিরাপত্তা সরকারের এখন অগ্রাধিকার জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এনে সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে অবিরাম। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং সংস্থাসমূহের মাঝে সমন্বয় জোরদার করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং সলিউশন এবং এনফোর্সমেন্টের পাশাপাশি প্রয়োজন সচেতনতা। আর এজন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
দেশব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়কগুলো চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “প্রায় সাড়ে চারশ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ শেষ করেছি। বর্তমানে আরও সাড়ে চারশ কিলোমিটার মহাসড়কের চার লেনে উন্নীতকরণ কাজ চলমান রয়েছে।
“মহাসড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এখন প্রতিটি মহাসড়কের চার লেনের সাথে অতিরিক্ত দুটি লেন দুই পাশে নির্মাণ করছি ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য। এতে দুর্ঘটনা কমে আসছে এবং বাই লেন ব্যবহার করে এলাকার জনমানুষের চলাচলও সহজতর হচ্ছে।”
রাজধানী ঢাকায় প্রবেশ এবং ঢাকা থেকে বের হওয়ার সড়কগুলোর সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে জোর দেন তিনি।