ঘূর্ণিঝড়টি শ্রীলঙ্কার উপকূল অতিক্রম করছে বলে বুধবার আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপের তালিকা অনুযায়ী, এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে বুরেভি। মালদ্বীপ এ নামটি এসকাপে প্রস্তাব করেছিল।
শাহীনুর বলেন, “প্রতি বছর অন্তত ৪-৫টি নিম্নচাপের শঙ্কা থাকে এ অঞ্চলে। এর মধ্যে কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। আবহওয়াগত চরিত্র অনুযায়ী এটা স্বাভাবিক। এ বছর তুলনামুলকভাবে নিম্নচাপ কমও হয়েছে। সার্বিকভাবে এবার এটা নরমাল ফেনোমেনন বলা যায়।”
সপ্তাহ আগে তামিলনাড়ু উপকূলে এসেছিল ঘূর্ণিঝড় নিভার। সেটিরও প্রভাব দেশে পড়েনি।
সবশেষ ঘূর্ণিঝড় আম্পান বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এসেছিল।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বুরেভির কোনো প্রভাব দেশের উপকূলে থাকবে না। কয়েকদিন তাপমাত্রাও অপরিবর্তিত থাকবে। তবে সপ্তাহখানেক পরে শীতের প্রবণতা বাড়বে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে ৩২ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চলতি মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১-২টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ (সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮-১০ ডিসেলসিয়াস) ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যতে পারে।