আবহাওয়াবিদ মো. আরিফ হোসেন মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ, পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে আভাস রয়েছে।
“ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলেও এটির অবস্থান এখন শ্রীলঙ্কার দিকে। এর কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না,” বলেন তিনি।
ডিসেম্বরের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, এ মাসে বঙ্গোপসারে ১-২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে এটি বাংলাদেশ উপকূলে আসবে না।
ডিসেম্বরের শৈত্যপ্রবাহ
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক জানান, মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ১-২টি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ (সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮-১০ ডিসেলসিয়াস) ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ (৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যতে পারে।
এখন দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমবে। সঙ্গে ভোর থেকে সকাল পযন্ত বাড়বে কুয়াশার দাপট।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, “তাপমাত্রা সপ্তাহখানেক অপরিবর্ততি থাকতে পারে। তবে ডিসেম্বর ৭-৮ তারিখ থেকে কমতে পারে। তখন শীতটা জেঁকে বসতে পারে।”
মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে ৩২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।