ফারমার্স ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ: চার আসামির জামিন কেন বাতিল নয়

ফারমার্স ব্যাংকের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) ঋণের চার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় চার আসামির জামিন বাতিল প্রশ্নে রুল জারি করেছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2020, 08:48 AM
Updated : 1 Dec 2020, 08:48 AM

১০ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে তাদের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা এ মামলার আসামি।

আদালত যে চার আসামির জামিন বাতিলের প্রশ্নে রুল জারি করেছে তারা হলেন- ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফল হক, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান ও একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা।

জামিন বাতিল চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

গত ১৮ অগাস্ট ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালত ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম শামীম, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে জামিন দেয়।

এ মামলায় ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী) কারাগারে আছেন।

এছাড়া কানাডায় থাকা বিচারপতি সিনহা ছাড়াও ব্যাংকটির ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় পলাতক রয়েছেন।

আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অচিরেই ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম শামীম ও সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিনের জামিন বাতিল চেয়েও আবেদন করা হবে।”

গত ১৩ অগাস্ট একই আদালতে ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে মামলার বিচার শুরু হয়।

২০১৯ সালের ১০ জুলাই দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলা তদন্ত করে একই বছরের ৯ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র দেন দুদক পরিচালক বেনজীর আহমেদ।

এরপর গত ৫ জানুয়ারি দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।

মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে।