রোববার (২৯ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন সুমি রহমান।
তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন শাহিনুল ইসলাম অনি। দুদকের পক্ষে মীর আহাম্মেদ আলী সালাম এবং মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধীতা করেন।
উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান গত বছরের ২৯ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ আনিস ও সুমির বিরুদ্ধে আলাদা মামলা করেন ।
মামলার এজাহারে কাজী আনিসের বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ৯২০ টাকা এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এক কোটি ৩১ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
ক্যাসিনোকাণ্ডে যুবলীগ নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে আনিসুরের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর গতবছরের ১১ আক্টোবর তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে ২০০৫ কাজ শুরু করেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ছেলে আনিস। সাত বছর পর কর্মচারী থেকে কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক পদে বসেন। এখন তিনি একাধিক গাড়ি-বাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমির মালিক।
দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, মুকসুদপুরের মেসার্স মা ফিলিং স্টেশন এবং মেসার্স আরাফিন এন্টারপ্রাইজের মালিক আনিস বিভিন্ন ‘অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কাজের’ মাধ্যমে ১২ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ৯২০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন।
আনিসের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলায় বলা হয়েছে, সুমি রহমান নিজের এবং তার স্বামী কাজী আনিসুর রহমানের ‘অবৈধ উপায়ে অর্জিত’ অর্থ দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নামে-বেনামে একাধিক প্লট, বাড়ি ও ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন।
সম্প্রতি পলাতক কাজী আনিসের ঢাকার কলাবাগানের পাঁচতলা একটি ভবন, দুটি ফ্ল্যাট এবং পাঁচটি দোকানসহ বিপুল সম্পদ জব্দ করার কথা জানিয়েছে দুদক।