ফেইসবুকে গ্রুপ খুলে ঢাকায় জড়ো হন মামুনুল সমর্থকরা: পুলিশ

হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যে ফেইসবুকে গ্রুপ খুলে শুক্রবার ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মাদ্রাসা ছাত্রসহ তাদের মতাবলম্বীরা জড়ো হয়েছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Nov 2020, 05:48 PM
Updated : 28 Nov 2020, 05:49 PM

পুলিশের ভাষ্য মতে, জুমার নামাজের ছদ্মবেশে সমবেত হয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী বিক্ষোভ মিছিল বের করেছিলেন তারা। সেই মিছিলে বাধা দিলে পুলিশ সদস্যদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পল্টন-শান্তিনগর এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পল্টন ও রমনা থানায় দুটি মামলা করা হয়।

পল্টন থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তারা ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছিলেন। সবার বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।

একই অভিযোগে নয়জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম।

দুই থানার ওসি জানান, গ্রেপ্তারদের অধিকাংশই মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় বলা হয়, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল হক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করার প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সম্প্রতি শাহবাগে সমাবেশ করে। সেখানে মামুনুল হকের কুশপুতুল দাহ করা হয়।

এর প্রতিবাদ জানাতে বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্ররা শুক্রবার বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজের ছদ্মবরণে সমবেত হন। পরে তারা মিছিল বের করলে পুলিশ বাধা দেয়। তারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে নাইটেংগেল মোড় হয়ে শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে রাস্তা অবরোধ করে।

এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে ধাওয়া দিলে তারা পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং দুই থানা এলাকার আশপাশের বিভিন্ন গলি দিয়ে অনেকে পালিয়ে গেলেও ২৩ জন ধরা পড়ে।

গ্রেপ্তার কয়েকজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বলা হয়, “তারা পুলিশকে বলেছে, ফেইসবুকে ‘সাইখুল হাদিস মুহাম্মদ মামুনুল হক সমর্থক গ্রুপ’ নামের একটি গ্রুপের মাধ্যমে খবর পেয়ে বায়তুল মোকাররমে এসেছিলেন।”

একই ধরনের বক্তব্য এসেছে রমনা থানায় দায়ের করা মামলায়। সেখানে নির্দিষ্ট কোনো গ্রুপের কথা বলা না হলেও ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বার্তা পেয়ে বিক্ষোভের জন্য তাদের বায়তুল মোকাররমে সমবেত হওয়ার কথা বলা হয়েছে।