কিন্তু সহকর্মীদের 'খামখেয়ালিপনায়' দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে মারা গেলেন এই তরুণ।
শনিবার প্রথম প্রহরে রিয়াদ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
ঢাকার জুরাইনের কমিশনার রোডে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন রিয়াদ। তার বাবা ফরিদ মিয়া একজন গাড়িচালক। রিয়াদ সিদ্ধেশ্বরী কলেজে অনার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মহামারীর মধ্যে পরিবারে অস্বচ্ছলতা দূর করতে নভেম্বর মাসের ৪ তারিখে ৫ হাজার টাকা বেতনে জুরাইন ‘এস আহমেদ’ পেট্রল পাম্পে চাকরি নিয়েছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার ভোরে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয় রিয়াদকে।
শ্যামপুর থানার এসআই মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ওই পেট্রোল পাম্পে সহকর্মীরা রিয়াদের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।
এ ঘটনায় রিয়াদের বাবার করা মামলায় মাহমুদুল হাসান ইমন (২২), ফাহাদ আহমদ পাভেল (২৮) ও শহিদুল ইসলাম রনিকে (১৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনা কীভাবে ঘটেছে- জানতে চাইলে শনিবার সকালে এসআই মাহবুবুর রহমান বলেন, “তিনজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ পাওয়া যায়নি।
যেহেতু ভিকটিম মারা গেছে, তাই পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আবার আবেদন করা হবে।”
রিয়াদের বাবা ফরিদ হোসেনও কিছু জানতে পারেননি।
ওই পেট্রলপাম্পে রিয়াদ ও গ্রেপ্তার তিনজন অপারেটরের দায়িত্ব পালন করছিল। ইমন রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিল। রিয়াদ ইমনকে ঘুম থেকে জাগিয়েছিল বলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে এসআই মাহবুব এর ধারণা।