বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক রাষ্ট্রদূত আনোয়ার উল আলম গুরুতর অসুস্থ
নিজস্ব প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 27 Nov 2020 02:04 AM BdST Updated: 27 Nov 2020 02:04 AM BdST
-
বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার উল আলম
বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সচিব, রাষ্ট্রদূত আনোয়ার উল আলম শহীদ গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তার পরিবারের বরাত দিয়ে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের মহাসচিব হারুন হাবীব বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “গত ১ নভেম্বর মস্তিষ্কে টিউমার অপসারণের পর এমনিতে তিনি সুস্থ হতে পারেননি। পরে তার শরীরে আবার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল।
“ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাকে। আজকেও তার পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তার উন্নতির মাত্রা খুব ধীর। অবস্থা খুব ভালো নয়।”
আনোয়ার উল আলম সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সহসভাপতি।
আনোয়ার উল আলম ১৯৪৭ সালে টাঙ্গাইলের থানাপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৌলভী আবদুর রাহীম ইছাপুরী ছিলেন ইসলামী পণ্ডিত ও টাঙ্গাইলে ব্রিটিশ-বিরোধী রাজনৈতিক মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম নেতা।
আনোয়ার উল আলম ১৯৬২ সাল থেকে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং একই সঙ্গে বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে থাকেন। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ (বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন তিনি।
১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন আনোয়ারুল আলম শহীদ। এসময় বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় নেতাদের সঙ্গে তার পরিচয় গড়ে উঠে।
আবদুল কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা কাদেরিয়া বাহিনীর বেসামরিক প্রধান ছিলেন আনোয়ার উল আলম।
মুক্তিবাহিনীর একটি সাপ্তাহিক মুখপাত্র ‘রণাঙ্গন’ প্রকাশনা শুরু হলে ‘রণদূত’ ছদ্মনামে আনোয়ার উল আলম শহীদ এই পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর সাবেক ইপিআর ও মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে জাতীয় মিলিশিয়া বাহিনী গঠন করা হলে তাকে সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে তিনি রক্ষীবাহিনীর সহকারী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান।
রক্ষীবাহিনী বিলুপ্ত হওয়ার পর তিনি সেনাবাহিনীতে ফিরে যান। কর্নেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর ১৯৭৮ সালে সরকার তাকে অবসর দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
পরে আনোয়ার উল আলম জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ফার্স্ট সেক্রেটারি ছিলেন। জাকার্তা থেকে বদলি হয়ে যান কুয়ালালামপুরে, পরে ব্রুনাই, হংকংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসেও চাকরি করেন তিনি। শেষে সচিব মর্যাদায় বাহরাইন ও স্পেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হন তিনি।
আনোয়ার উল আলম ২০০৬ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। পরে তিনি টাঙ্গাইল পৈতৃক ভিটায় ‘শহীদ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’গড়ে তোলেন।
-
সাবেক সাংসদ আউয়াল দম্পতির সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ
-
ইয়াফেস ওসমানের স্ত্রীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
-
মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের স্ত্রী বুলা আহম্মেদের মৃত্যু
-
চলচ্চিত্র থেকে শিশুরাও যেন শিখতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
-
গুলশানে পিকআপের ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু
-
বছরের প্রথম সংসদ অধিবেশন সোমবার
-
তেজগাঁওয়ে গাড়ি সার্ভিসিং সেন্টারে আগুনে দগ্ধ ৭
-
দুয়েকটি ‘নগণ্য’ ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু ও সুন্দর ভোট: ইসি সচিব
সর্বাধিক পঠিত
- নোয়াখালীতে ফের গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের মামলা
- ভোটে জিতে কাদের মির্জা বললেন, কথা বলে যাব
- দ্বিতীয় ধাপের ভোটে মেয়র হলেন যারা
- উইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে হাসান-শরিফুল-মেহেদি
- তিন নতুন মুখের ব্যাখ্যা প্রধান নির্বাচকের
- অভিষেকে অনুজ্জ্বল টেন্ডুলকারের ছেলে
- এখন কেউ ‘খেলতে’ এলেই ধরা পড়বে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
- সিরাজগঞ্জে ফল ঘোষণার পর সংঘর্ষে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী নিহত
- বিমানের সহযাত্রী করোনাভাইরাস পজিটিভ, কোয়ারেন্টিনে ৪৭ খেলোয়াড়
- তামিম-সাকিবের ব্যাটে রান