দীপন হত্যা: সাক্ষ্য দিলেন প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা

প্রকাশক ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শাহিন ফকির।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2020, 03:13 PM
Updated : 26 Nov 2020, 03:13 PM

বৃহস্পতিবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন।

আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন রেখেছেন। সেদিন এ মামলার শেষ তদন্ত কমর্কর্তা গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমানের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।

রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ এ পর্যন্ত শেষ হয়েছে।

এদিন সাক্ষ্য দেওয়ার পর পরিদর্শক শাহিন ফকির আসামিপক্ষের আইনজীব খায়রুল ইসলাম লিটনের জেরার উত্তরে বলেন, তিনি চারটি জব্দ তালিকা করেছেন। এছাড়া সুরতহাল প্রতিবেদন, মানচিত্র, সূচিপত্রও তিনি তৈরি করেছেন। ১৬১ ধারার আটজনের জবানবন্দি নিয়েছেন।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করলেও তিনি নিজে কাউকে শনাক্ত করেননি বলে জেরায় এক প্রশ্নের জবাবে জানান তিনি।

লেখক-প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের উপর ধারাবাহিক হামলার মধ্যে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে আক্রান্ত হন ফয়সাল আরেফীন দীপন। তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।

একই দিন রাজধানীর লালমাটিয়ার সি ব্লকে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে হানা দেয় দুর্বৃত্ত দল। তারা প্রকাশক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুল, ব্লগার তারেক রহিম ও লেখক রণদীপম বসুকে কুপিয়ে আহত করে।

তার আগে ওই বছরই বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলা চলার সময় টিএসসিতে কুপিয়ে হত্যা করা হয় লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায়কে। জাগৃতি ও শুদ্ধস্বর দুই প্রকাশনা থেকেই বিজ্ঞান লেখক অভিজিতের বই প্রকাশিত হয়।

দীপন হত্যার ঘটনায় মামলার পর দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

সেখানে বলা হয়, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম দীপন হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের নেতা সৈয়দ জিয়াউল হকের পরিকল্পনা এবং নির্দেশেই দীপনকে হত্যা করা হয়।

এই মামলার আসামিরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম, মো. আ. সবুর, খাইরুল ইসলাম, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল, মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. শেখ আব্দুল্লাহ, সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব। এর মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক।

গতবছর ১৩ অক্টোবর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু করে আদেশ দেয় আদালত।