সগিরা মোর্শেদ হত্যা: অভিযোগ গঠনের বাকি শুনানি ২ ডিসেম্বর
আদালত প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 26 Nov 2020 05:00 PM BdST Updated: 26 Nov 2020 05:00 PM BdST
-
আদালতে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার আসামি তার ভাশুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, ফাইল ছবি
-
সগিরা মোর্শেদ
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে তিন দশক আগের সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় তার ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়েছে।
চার বার সময় নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এই শুনানি শুরু করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭০) এবং তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা শাহিনের (৬৪) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল অসুস্থ থাকায় তাদের অপর আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী প্রথম দিন শুনানি করেন। তিনি আসামিদের অব্যাহতি চান।
হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ (৫৯) ওরফে রেজওয়ানের পক্ষেও এদিন অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হয়।
আরেক আসামি মারুফ রেজার (৫৯) পক্ষে তার নতুন আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করে বলেন, “আমি মাত্র গতকাল মামলার কাগজপত্র হাতে পেয়েছি। সে কারণে শুনানির প্রস্তুতি নেই।”
পরে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের অবশিষ্ট শুনানির জন্য ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
সগিরা মোর্শেদ হত্যা: মামলা শিশু আদালতে নিতে মারুফের আবেদন খারিজ
সগিরা মোর্শেদ হত্যা: ভাসুর-জাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
অব্যাহতির আবেদনের শুনানিতে আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, “মামলার প্রথম অভিযোগপত্রে এবং পরে বিচারিক আদালতে গৃহীত সাক্ষ্য পর্যালোচনায় এই আসামিদের সংশ্লিষ্টতা প্রকাশিত হয়নি। তারা অব্যাহতি পাওয়ার যোগ্য।”
এ মামলায় অধিকতর তদন্তের যে আদেশ আদালত দিয়েছিল, তা এখতিয়ার বহিভূর্ত ছিল বলেও দাবি করেন এই আইনজীবী।
তিনি বলেন, একই তারিখে প্রায় একই সময়ে দুজন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নিয়ে হাকিম ‘অইন ভঙ্গ করেছেন’। সেই জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্যও আবেদন করা হয়েছিল।
হাসান আলী ও তার স্ত্রী শাহিন ওই হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় একজন মহানগর হাকিমের কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। পরে অপর দুই আসামি মারুফ রেজা ও রেজওয়ানও আদালতে জবানবন্দি দেন।
ঘটনার সময় শিশু ছিলেন দাবি করে আসামি মারুফ রেজা এ মামলা শিশু আদালতে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন হাই কোর্টে। কিন্তু হাই কোর্ট তাতে সাড়া দেয়নি।

সগিরা মোর্শেদ
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে মেয়েকে আনতে গিয়ে সিদ্ধেশ্বরী রোডে মোটরবাইকে আসা ছিনতাইকারীদের গুলিতে নিহত হন সগিরা মোর্শেদ।
ওই দিনই রমনা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সগিরা মোর্শেদের সালামের স্বামী সালাম চৌধুরী। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত হিসেবে মন্টু ও মারুফ রেজাকে শনাক্ত করলে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বেইলি রোডের বাসিন্দা মারুফ রেজা এখন একজন আবাসন ব্যবসায়ী। তিনি এরশাদ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসানের ভাগ্নে।
ওই সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও শেষ পর্যন্ত তার নাম বাদ দিয়েই অভিযোগপত্র দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দীক। সাক্ষ্য নেওয়া হয় সাতজনের।
সাক্ষ্য চলাকালে মারুফ রেজার প্রসঙ্গ উঠে আসায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ১৯৯১ সালের ২৩ মে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেয় ঢাকার জজ আদালত।
৩০ বছর পর খুলল হত্যারহস্য, পেছনে ‘জায়ে জায়ে দ্বন্দ্ব’
ওই আদেশের বিরুদ্ধে মারুফ রেজার রিভিশন আবেদনে হাই কোর্ট ১৯৯১ সালের ২ জুলাই অধিকতর তদন্তের আদেশ ও বিচার কাজের ওপর ছয় মাসের স্থগিতাদেশ জারি করে। পাশাপাশি অধিকতর তদন্তের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে।
পরের বছর ২৭ অগাস্ট জারি করা রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই মামলার বিচার কাজ স্থগিত থাকবে বলে আরেকটি আদেশ দেয় হাই কোর্ট।
২৮ বছর আগের মারুফের ওই আবেদন গত বছর জুন খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।
তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে প্রথমে মামলার বাদী সগিরা মোর্শেদের স্বামী আব্দুস সালাম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করে পিবিআই। অনেক চেষ্টার পর বের করা হয় সগিরাকে বহনকারী সেদিনের যুবক রিকশাচালককে।
তার মাধ্যমে হত্যাকারীদের একজন ডা. হাসানের শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ানকে শনাক্তের পর গত ১০ নভেম্বর রামপুরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় সগিরার ভাসুর ডা. হাসান আলী, তার স্ত্রী শাহিন ও মারুফ রেজাকে। তারাও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এরপর চলতি বছর জানুয়ারিতে ওই চারজনের বাইরে আগের অভিযোগপত্রের আসামি মন্টু মণ্ডল ওরফে মিন্টুকে আসামির তালিকায় রেখে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই।
এ তদন্ত সংস্থার প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার সে সময় বলেন, স্ত্রীর কথায় প্ররোচিত হয়ে ছোট ভাইয়ের বউকে শায়েস্তা করার জন্য ২৫ হাজার টাকায় সে সময় বেইলি রোড এলাকার ‘সন্ত্রাসী’ মারুফ রেজাকে ভাড়া করেছিলেন ডা. হাসান। মারুফকে সহযোগিতার জন্য স্ত্রীর ভাই রেজওয়ানকে তিনি দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকালে সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদের পথ আটকান মটরসাইকেল আরোহী মারুফ ও রেজওয়ান। হাতব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার পর তার হাতের বালা নিতে উদ্যত হলে রেজওয়ানকে চিনে ফেলেন সগিরা, তারপরই তার বুকে গুলি চালিয়ে দেন মারুফ রেজা।
-
পিএসসির নতুন সদস্য অধ্যাপক উত্তম কুমার
-
বৃদ্ধাকে নির্যাতন: সেই গৃহকর্মী গ্রেপ্তার
-
চুক্তিতে আইসিটি সচিব থাকছেন জিয়াউল
-
ধর্ষণ: নূরদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৮ ফেব্রুয়ারি
-
পি কে হালদারের ‘সহযোগী’ বাবা-মেয়ে গ্রেপ্তার
-
বাস্তবতার সঙ্গে সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যার মিল কম: তথ্যমন্ত্রী
-
বেসরকারিভাবে টিকার আনার দাবি সাংসদ ফরাজীর
-
এইচএসসির ফল: তিন বিলের রিপোর্ট সংসদে
সর্বাধিক পঠিত
- মলিন ক্রিকেটের দিনে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক সাকিব
- বাইডেনের জন্য ট্রাম্পের চিঠি
- তামিমকে ১ বছর পর বিচার করতে বললেন সাকিব
- তৃতীয় সারির দলের বিপক্ষে হেরে বিদায় রিয়ালের
- ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলের মালিক এখন শুধুই রোনালদো
- কুষ্টিয়ার এসপিকে হাই কোর্টে তলব, অবমাননার রুল
- রেকর্ড গড়া অভিষেকেও আকিল হোসেনের আক্ষেপ
- এমন অভিষেক আগে দেখেনি কেউ
- আমেরিকাকে ডুবিয়ে বিদায় হলেন ট্রাম্প
- ‘আসল দল আসছে’ ভারতকে পিটারসেনের হুঁশিয়ারি