নারীর প্রতি সহিংসতা: মহামারীর বিশ্বে হেল্প লাইনে কল বেড়েছে ৫ গুণ

করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে বিশ্বে সহিংসতার শিকার হয়ে আগের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি নারী হেল্প লাইনে ফোন করেছেন বলে উঠে এসেছে ইউএন উইমেনের এক পরিসংখ্যানে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2020, 03:46 PM
Updated : 25 Nov 2020, 03:46 PM

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বুধবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।

সেখানে বলা হয়, বিশ্বে ৩৫ শতাংশ নারী তার জীবন পরিক্রমায় কোনো না কোনো সময়ে শারীরিক, মানসিক এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ঘটে আপনজনের মাধ্যমে। সহিংসতার শিকার এই নারীদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত সহায়তা পাওয়া নারীর সংখ্যা ৪০ শতাংশেরও কম।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সকলকে মনে রাখতে হবে, যথেষ্ট আন্তরিকতা থাকা সত্ত্বেও একা সরকারের পক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব না। এর জন্য বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সংগঠনসহ সকলের নিরলস প্রয়াস ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতিসংঘের উদ্যোগে ২৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজিত কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।

নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতা তৈরিতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। জাতিসংঘের এ বছরের প্রতিপাদ্য ঠিক করেছে ‘কমলা রঙের বিশ্ব নারী, বাধার পথ দেবেই পাড়ি’।

মহামারীকালে সহিংসতা প্রতিরোধে নারীর জন্য আর্থিক সহায়তা, সহিংসতার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন, ভিকটিমদের সেবা ও বিচার নিশ্চিত করা এবং সহিংসতার তথ্য সংগ্রহ করা এ বছরের কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।

অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো, ফরেইন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস বাংলাদেশের ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর জুডিথ হারবার্টসন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।