ধর্ষণ: কোতয়ালীর মামলায় নুরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা পেছাল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় দায়ের করা ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রতিবেদন জমা পিছিয়েছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2020, 09:12 AM
Updated : 25 Nov 2020, 09:12 AM

বুধবার প্রতিবেদন দাখিলের নির্ধারিত দিনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিল না করে সময় চান।

পরে ঢাকার মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৭ ডিসেম্বর নতুন দিন ঠিক করেন বলে ঢাকার মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার জাফর হোসেন জানান।

মামলার আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), একই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন (২৮), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরু (২৫), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকী (২৩)। এর মধ্যে নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ও নাজমুল হুদা কারাগারে আছেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এক তরুণী মামলাটি করেন। একই আসামিদের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায়ও আরেকটি মামলা করেন তিনি।

কোতোয়ালি থানার মামলায় ওই তরুণীকে অপহরণ, এরপর পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

নথিপত্র সূত্রে জানা যায়, মামলাটিতে দুটি ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং আরেকটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।

মামলায় ঘটনার দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। স্থান উল্লেখ করা হয়েছে, কোতোয়ালি থানা এলাকার সদরঘাট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট।

গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় নুরসহ এই ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরে ওই মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে নামলে ভিপি নুরসহ ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। অবশ্য ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।