তিনি বলেছেন, “সকলের সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণ ছাড়া সরকারের একার পক্ষে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করা সম্ভব নয়।”
মঙ্গলবার একশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘সহিংসতামুক্ত ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে আতিকুল ইসলামের এ আহ্বান আসে।
তিনি বলেন, “অতীতে সিটি করপোরেশনে নারী ও শিশু বিষয়ক কোনো পৃথক কমিটি ছিল না, আমরা নতুন করে একটি কমিটি করেছি। পাশাপাশি নারী ও শিশুদের জন্য আর কী কী করা যায় তার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা চাই সবাই আমাদের সহযোগিতা করবেন।”
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মহাখালীতে নারীদের জন্য বিশেষায়িত একটি হাসপাতাল করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানান মেয়র।
তিনি বলেন “আমরা আগামী জানুয়ারি থেকে ৪৬ হাজার বাতি রাস্তায় লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছি, যাতে নগরবাসী স্বচ্ছ ও আলোকিত ঢাকায় চলাচল করতে পারে। আর আগামী মাসেই ‘সবাই মিলে সবার ঢাকা’ নামে নতুন একটি অ্যাপ আসছে, যেখানে নগরবাসী খুব সহজেই যে কোনো ধরনের অভিযোগ জানাতে পারবে।”
এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৬ দিন ব্যাপী ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ’ এর উদ্বোধন করল একশনএইড বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক সহিংসতাগুলোর ঘটনাগুলো ওয়েবিনারে তুলে ধরা হয় এবং এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের সম্ভাব্য উপায় খুঁজে বের করতে আলোচনা হয়।
একশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির বোর্ড সদস্য নাসিমুল হাই বলেন, “বর্তমান সময়ে ঘটে যাওয়া নারী নির্যাতনের বেশ কিছু ঘটনা আমাদের বিবেককে দারুণভাবে নাড়া দিয়েছে। আমরা আশা করব এ ধরনের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে আর না ঘটে।”
২০১৮ সালে একশনএইড পরিচালিত একটি জরিপের তথ্য তুলে ধরে ওয়েবিনারে জানানো হয়, নারীর প্রতি সহিংসতা সবচেয়ে বেশি হয় তার ঘরে। এ ধরনের মামলাগুলোতে প্রতি তিনজনের মধ্যে দুইজন নারীই ঘরোয়া সহিংসতার শিকার।
অন্যদের মধ্যে একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টোরাল প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক আবুল হোসেন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নিজেরা করির সমন্বয়ক খুশি কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসলিমা ইয়াসমিন, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন) সিফাত ই-রব্বান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।