বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপের তালিকা অনুযায়ী, এ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে নিভার। ইরান এ নামটি এসকাপে প্রস্তাব করেছিল।
ঘূর্ণিঝড় নিভার আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে এগিয়ে যেতে পারে। তবে এর তেমন কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে বলে আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন না।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় এ ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ থাকলেও বাংলাদেশ উপকূল থেকে এর অবস্থান অনেক দূরে বলে সমুদ্র বন্দরগুলোকে কোনো সংকেত দেখাতে বলা হয়নি। তবে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আরও ঘনীভূত হয়ে নিভার প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পেতে পারে। বুধবার সেটি পুদুচেরির (পুরনো নাম পন্ডিচেরি) কাছ দিয়ে তামিলনাড়ু উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, এ ঘূর্ণিঝড়ের যা প্রভাব, তা ভারত ও শ্রীলঙ্কার ওপরই পড়বে। অনেক দূরে হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলাদেশে ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা তেমন নেই।
এদিকে টানা কয়েকদিন রাতের তাপমাত্রা কমার প্রবণতা কেটে গিয়ে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে, তাতে হিম হিম ভাবও কিছুটা কমছে।
মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেতুঁলিয়ায় ১১ দশামক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামে ৩০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছিল।
মঙ্গলবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে; সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। দিনের তাপমাত্রাও কিছুটা বাড়বে।