হাই কোর্টে জামিন মিললো ফটো সাংবাদিক কাজলের

সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Nov 2020, 07:26 AM
Updated : 24 Nov 2020, 08:21 AM

কাজলের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার তাকে জামিন দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পি।

যে মামলায় কাজল জামিন পেলেন, সেটি দায়ের করা হয়েছিল শেরেবাংলা নগর থানায়। হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীর চর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরো দুটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ফলে এখনই তার মুক্তি মিলছে না।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজকে দুই মামলার (কামরাঙ্গীর চর ও হাজারীবাগ থানা) তদন্ত কর্মকর্তা এসেছিলেন, ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আদালত এ দুই মামলার জামিন প্রশ্নে রুল দিয়েছিল। আগামী ১৫ ডিসেম্বর রুলের ওপর শুনানি হবে, সেদিন তদন্ত কর্মকর্তাকেও থাকতে বলা হয়েছে।”

যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার ওয়েস্টিন হোটেলকেন্দ্রিক কারবারে ‘জড়িতদের’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে গত ৯ মার্চ ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর।

ওই মামলা হওয়ার পর আসামির তালিকায় থাকা শফিকুল ইসলাম কাজল প্রায় দুই মাস নিখোঁজ ছিলেন। পরে গত ২ মে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বিজিবি।

যশোর থেকে ঢাকায় আনার পর গত ২৩ জুন কাজলকে শেরেবাংলা নগর থানার ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারকের মুখোমুখি করা হয়। হাকিম আদালত সেদিন কাজলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে।

এরপর গত ২৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতও কাজলের জামিন আবেদন নাকচ করলে তিনি ৮ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট গত ১৯ অক্টোবর রুল জারি করে।

কেন কাজলকে জামিন দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয় সেই রুলে। দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। সেই সঙ্গে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মামলার কেইস ডকেট (সিডি) নিয়ে আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়।

তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা শোনার পর আদালত রুলটি যথাযথ ঘোষণা করে সাংবাদিক কাজলকে জামিন দিল।

এদিকে সাংসদ শিখর মামলা করার পর ১০ ও ১১ মার্চ হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীর চর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরো দুটি মামলা হয়; যার মধ্যে একটির বাদী যুব মহিলা লীগের নেত্রী ইয়াসমিন আরা ওরফে বেলী।

মুক্তি পাওয়ার জন্য এ দুটি মামলায় জামিনের অপেক্ষায় থাকতে হবে ফটো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে।