সোমবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে ছেলে ফাহিম নাকির হোসেন জানিয়েছেন।
৭০ বছর বয়সী আলমগীর হোসেন হৃদরোগসহ নানা জটিলতায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৮ নভেম্বর রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করালে ফল পজিটিভ আসে। পরে সেখানে তাকে প্লাজমা থেরাপিও দেওয়া হয়।
সোমবার সন্ধ্যায় অবস্থার অবনতি হলে আলমগীর হোসেনকে কার্ডিয়াক হাসপাতাল থেকে পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাত ১০টার দিকে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার টাঙ্গাইল সদরে গ্রামের বাড়িতে আলমগীর হোসেনকে দাফন করা হবে বলে ফাহিম নাকির জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই অবস্থায় সোশ্যাল গ্যাদারিং করা ঠিক হবে না। তাই আমরা বাবাকে আর টিএসসিতে নেব না। এখানে গোসল দেওয়ার পর কেউ দেখতে চাইলে তাকে শেষবারের মতো দেখতে পারবে। কাল সকালেই আমরা বাবাকে গ্রামের বাড়ি নিয়ে গিয়ে দাফন করব।”
আলমগীর হোসেনের একমাত্র ছেলে ছাড়াও স্ত্রী, এক মেয়ে, পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিরা রয়েছে। তার স্ত্রীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আলমগীর হোসেন টিএসসির পরিচালক ছাড়াও দুই দফায় নিজ বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ডিইউএমসিজেএএ) সভাপতি ছিলেন। তার মৃত্যুতে ডিইউএমসিজেএএর নেতারা শোক জানিয়েছেন।