গত বছর আবরার মারা যাওয়ার পর লাশের ময়নাতদন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গেই হয়েছিল। আর তা করেছিল ফরেসনিক বিভাগ।
সোমবার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে সাক্ষ্য দেন অধ্যাপক সোহেল।
চকবাজার মডেল থানার কনস্টেবল মো. দস্তগীর হোসেনও এদিন আদালতে সাক্ষ্য দেন। আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ এই থানায়ই হত্যা মামলাটি করেছিলেন।
আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর দুই সাক্ষীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
এরপর আগামী ২৫ ও ২৬ নভেম্বর মামলাটির পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন বিচারক।
ট্রাইবুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ ভূঞা জানান, এ নিয়ে মামলাটিতে ৬০ সাক্ষীর মধ্যে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহসহ ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হল।
গত বছরের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী পিটিয়ে হত্যা করে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে।
আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ কুষ্টিয়া থেকে এসে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন। এক মাস পর ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
আসামিদের মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।
আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।